এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক দর ছিল৷ কার নম্বর কত শতাংশ বাড়াতে হবে, সেই অনুযায়ী ঠিক হতো তার দর৷ আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, কোনও চাকরি প্রার্থী ৬৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন আবার ধরুন কেউ পেয়েছেন ৭২ শতাংশ এদের দুজনের ক্ষেত্রে দর হত আলাদা৷ অর্থাৎ, শতাংশের বিচারে নম্বর বাড়ানোর নিরিখেও ঠিক হতো টাকার দর, অভিযোগ সিবিআইয়ের।
advertisement
এদিন বিচারক কেস ডায়েরি দেখে প্রশ্ন করেন, "সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে।" কেস ডায়েরির একটি পাতা উল্লেখ করে তদন্তকারী অফিসারকে পড়তে বলেন বিচারক। বলেন, "সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে…আপনার কেসের মূল অভিযোগগুলো কী!" তারই উত্তর দিতে গিয়ে আইনজীবী এই পৃথক দরের ব্যাখ্যা দেন আদালতে।
এদিন আদালত চত্বরে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ৷ জানান, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ এ নিয়ে আদালতে তিনি চিঠিও দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: ডিএ ইস্যুতে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! রাজ্যকে বেঁধে দেওয়া হল সময়, এবার...
এদিন আদালত চত্বরে সাংবাদিক সামনে কুন্তল দাবি করেন, "আগের দিন যা বলেছি, তা নিয়েই মহামান্য আদালতকে চিঠি দিয়েছি।" তখন সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করে, কার নাম তাঁর মুখ দিয়ে বলানোর চেষ্টা হচ্ছে? উত্তরে কুন্তল বলেন, " অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য যেভাবে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমি জানিয়েছি।"