উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। বিশেষত কমিশনের তরফে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই আদালতে তরফে পুরো নিয়োগ-প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ রয়েছে। তার উপরে করোনার জেরে বর্তমানে আদালত বন্ধ রয়েছে। তারই পাশাপাশি শুক্রবার রাজ্যের অর্থ দফতর ৩০শ জুন পর্যন্ত কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। ফলে, সব মিলিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শেষ করা সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি। যদিও এ বিষয়ে কমিশনের তরফেে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
advertisement
২০১৬ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুুুল সার্ভিস কমিশন। প্রায় চার বছর হতে চললো এখনও পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষ তো দূরের কথা শুধুমাত্র মেধাতালিকাই প্রকাশ করতে পেরেছে। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক আইনি জটিলতা ছিল। সেই আইনি জটিলতা কাটিয়ে গত বছরের পুজোর ঠিক আগে আগে মেধাতালিকা প্রকাশ করলেও তা নিয়েও স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত।
মূলত মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছিলেন কয়েকজন প্রার্থী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। যদিও সেই মামলার শুনানি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের কাছে আবেদন রেখেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি পর্ব প্রায় শেষ দিকে থাকলেও এবার করোনার জেরেই তা অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার রাজ্য অর্থ দফতর একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শেষ করতে পারবে তা নিয়ে চিন্তিত স্কুল শিক্ষা দফতর। কেন না বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থ দফতর জানিয়েছে ৩০শে জুন পর্যন্ত নতুন করে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যাবে না।
SOMRAJ BANDOPADHYAY