মোট ৩টি মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ ৷ গত ৩১ তারিখ সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৮ জনকে নিয়োগ করা হবে ৷ তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩০০ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাও থাকবে ৷ একইসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি জানান, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম তালিকায় নাম থাকা ১২ হাজার প্রার্থীর কাউন্সেলিং শুরু হবে ৷ তার মধ্যে ১১৩০০ জন প্রশিক্ষিতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি ৷
advertisement
প্রথম দফায় ১২ হাজার প্যানেলভুক্ত চাকরি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দ্বিতীয় দফায় ৫২৩১ জন প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ৷ পরে তৃতীয় দফায় বাকি পরীক্ষার্থীদের কাউন্সেলিঙয়ের জন্য ডাক পাঠায় পর্ষদ ৷
পর্ষদ সূত্রে খবর,প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১০% আসন ৷ সেই আসনগুলির বেশ কিছুতে নিয়োগ বাকি ৷
৪১ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ শেষ। তারপরও জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ। টেট পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে কোথাও দীর্ঘক্ষণ অবরোধ। কোথায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। প্রাথমিকের টেটে মোট শূন্যপদে ১০ শতাংশ প্যারাটিচারদের সংরক্ষিত রেখেছিল পর্ষদ। প্যারাটিচার পদে শংসাপত্র দেখাতে না পেরেই বেশ কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
শেষ মুহুর্তে প্যারাটিচার সমস্যাই মাথাব্যথা হয়ে উঠল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। প্যারাটিচার না হয়েও ওই ক্যাটেগরিতে পরীক্ষায় বসেছিলেন অনেকেই।
পর্ষদ সভাপতির সাফ কথা, ভেরিফিকেশনের সময় প্যারাটিচারের শংসাপত্র দেখাতে না পারলে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এই পরীক্ষার্থীরাই সামিল হচ্ছেন বিক্ষোভ-অবরোধে।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রায় শেষ। তবে প্যারাটিচার জটিলতায় আটকে রয়েছে বেশ কিছু শূন্য শিক্ষক পদে নিয়োগ
তবে শুধু প্যারাটিচার নয়, পর্ষদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভে সামিল টেট পরীক্ষার্থীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে বিক্ষোভ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও টেট পাশ করা প্রার্থীদের।সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়ে চলে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ ছিল কালেক্টরেট মোড়।
উত্তর ২৪ পরগণা
বারাসাতে মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়াল স্কুলে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে সামিল টেট উত্তীর্ণরা। বিক্ষোভের জেরে প্রাইমারি সেকশনে ক্লাশ হয়নি।
অন্য জেলাগুলিতেও ছড়িয়েছে টেট বিক্ষোভ। তবে এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসুবিধা হবে না দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।