প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র নজরেও ছিল বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রঞ্জনের খোঁজ মিলছিল না। একাধিকবার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি তাঁর। দিনকয়েক আগে বাগদায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও নোটিস টাঙিয়ে দিয়ে আসেন ইডি-র আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ইস্ত্রি আছে? খুব সাবধান! কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর জীবন চলে গেল!
advertisement
ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে জানা যায়, বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের প্রথম শোনা যায় চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার সৎ রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি।
আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে টিকিট কেটেই কোটি টাকার লটারি পেল স্ত্রী! তারপর যা ঘটল, চমকে উঠবেন শুনলে
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী বাগদায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়েও তার সন্ধান পাননি গোয়েন্দারা। পরে গত বছর জুলাই মাসে সিবিআই চন্দনের হদিশ পায়। তাঁকে একাধিক বার জেরাও করেন গোয়েন্দারা। কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরাও দেন তিনি। এবার সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি।