কলকাতা: প্রাথমিক চাকরি বাতিল মামলায় মঙ্গলবার বড় মন্তব্য করে দিল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিকের ৩২ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন এদিন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন,”আদালতের পক্ষে কাদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে আর কাদের হয়নি,কারা দূর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে আদালত কিভাবে পৃথক করবে? আদালতের পক্ষে এই বাছাই করা সম্ভব নয়। “
advertisement
মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের উদ্দেশে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারা যে ভাবে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন তার সপক্ষে জোরালো প্রমাণ কই। এপটিউউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ সেখানে কেউ বলছে নেওয়া হয়েছে। কেউ বলছে নেওয়া হয়নি“।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ! আবার টানা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্য জুড়ে, কত দিন চলবে বৃষ্টি?
পাশাপাশি আদালত আরও বলে, “অন্য দিকে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। আপনারা বলছেন দূর্নীতি হয়েছে। টাকা দিতে পারে নি বলে চাকরি হয়নি। ধরুন আপনারা যা বলছেন সেটা মেনে নিলাম। অনিয়ম হয়েছে। তাহলে আমরা কিভাবে এই চাকরি বাতিল করব? আদালত কে ভালো খারাপের পৃথককরণেন আইনি উপায় বলুন। অত্যন্ত সিরিয়াস ম্যাটার। এখন যদি প্রায় ৩৩ হাজার চাকরি বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ, তাহলে যারা এই নির্দেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা আদালতে এসে বলবে তাদের কথা শুনতে হবে। এর শেষ কোথায়? বছরের পর বছর আমাদের তাহলে মামলা শুনতে হবে“।
আরও পড়ুন: MP, MLA, রাজ্যপাল, উপরাষ্ট্রপতি- সব পদেই ছিলেন জগদীপ ধনখড়! জানেন কত টাকা পেনশন পাবেন?
আবার যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে ৭-৮ বছর ধরে চাকরি করে যাবে একজন প্রার্থী! তাহলে? আদালতের কী করা উচিত? মামলাকারীদের কাছে কোন উত্তর আছে? আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদারদকে তার বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন আইনজীবী সৌম্য মজুমদার সওয়াল জবাবে বলেন, “২০১৬ সালের প্রাথমিকে ৪২ হাজার কিছু বেশি নিয়োগ হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ নিয়ম অনুয়ায়ী প্যানেল প্রকাশ করেনি। প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ নিজেরাই জানিয়েছে সিলেকশন কমিটি জেলা ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেই প্যানেল সংরক্ষণের নিয়ম মেনে করা হয়নি। কারণ সংরক্ষিত প্রার্থী দের জন্য আলাদা প্যানেল প্রকাশ করার কথা“।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র ডিভিশন বেঞ্চ আরও ভালো আইনি যুক্তি চায়। পরবর্তী শুনানিতে মূল মামলাকারীদের আইনজীবীদের কাছ থেকে তা শুনতে চায় হাইকোর্ট। ১১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।