দলীয় রাজনীতিতে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর অবস্থান দীর্ঘ দিন ধরেই ধোঁয়াশাময়। শিশির অধিকারী ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহের নির্বাচনী সভায় হাজির থাকলেও বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কোনও ঘোষণা করেননি। তবে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা যায়নি। তেমনই দেখা যায় না দিব্যেন্দু অধিকারীকেও। জল্পনা চলছিলই, এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি ভোটে কী করবেন দু’জনে?
advertisement
আরও পড়ুন- রেলপথে ফের যোগাযোগ শুরু হচ্ছে বাংলা-ত্রিপুরার
প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীর সাংসদপদ খারিজের দাবিতে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লাকে আগেই চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । এমতাবস্থায় তাই দিল্লি গিয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংসদ পিতা-পুত্র । দিল্লিতে কেন? দিব্যেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘আমি পরিষ্কার ভাবে বলি, দল আমাকে বলেনি কলকাতায় ভোট দিতে হবে। নিয়ম মেনে ১০ দিন আগে নির্বাচন কমিশনারকে জানাতে হত যে, আমি কলকাতায় ভোট দেব। দল মানে তৃণমূল সেই মর্মে আমায় কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই দিল্লি এসেছি ভোট দিতে।’’
দিব্যেন্দু অধিকারীও জানিয়েছেন, তাঁর বাবা শিশির অধিকারী-ও দিল্লি এসে ভোট দেওয়ার দিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাংসদের কথায়, ‘‘আমার বাবার বয়স ৮৩। তিনি যদি দিল্লি আসেন তাহলে আমাকে আসতেই হবে।’’ বিধানসভায় তৃণমূলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কেরা একত্রে ভোট দেবেন। একমাত্র দলের নতুন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা ওই দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকবেন শপথ গ্রহণের জন্য। তিনি সংসদেই ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন- ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় আইসিএসইতে রাজ্যে প্রথম অদিত্রি
এ ছাড়া রবিবার রাতে দিল্লি পৌঁছে গেছেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া৷অন্যদিকে, খাতায়-কলমে বিজেপির প্রতীকে জিতে আসা সাংসদ অর্জুন সিংহ ভোট দেবেন কলকাতায়। রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়ক সংখ্যা মিলিয়ে তৃণমূলের এ বারের ভোটার ২৫৪। তা অটুট রাখতে জেলাওয়াড়ি বিধায়কদের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের নেতা-মন্ত্রীদের। ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটকদের মতো মন্ত্রীরা এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন। একই ভাবে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় রয়েছেন সাংসদদের ভোট-পর্বের দায়িত্বে।
