এক সময় অভাব ছিল। আজও স্বাচ্ছন্দ্য নেই। কিন্তু লড়াইটা ভোলেননি প্রতিমা। পরিবারের স্টিয়ারিং-এর পাশাপাশি হাত রেখেছেন পাবলিক বাসের স্টিয়ারিং-এ।
এত গেল বছর সাতেক আগের কথা। তার আগে অবশ্য ট্যাক্সি, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার চালিয়েছেন। সেও প্রায় বছর দশ-বারো হতে চলল। গাড়ি চালনার শিক্ষা অবশ্য স্বামী শিবেশ্বরের কাছে।
অনুপ্রেরণা বলতে, স্বামীর কথাই বলেন। বলেন শাশুড়ির কথা। বলেন বড় ননদের কথা। তবে বাধা কি ছিল না পাড়ায় সংসারে? ছিল।...ছিল কানাঘুষোও। তবে বড় মেয়ে মাধ্যমিকে অল-স্টার হওয়ার পর। আর ফিরে তাকাননি পিছনে। খারাপ কথাও শুনতে হয়েছে। যাত্রীরা নেমে গেছেন। সহকর্মীরা বলেছেন, মেয়েরা এলে তাদের পেট চলবে কি করে?
advertisement
পরের সময়টা অবশ্য ভালই হয়েছিল। বড় মেয়ে এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, জাতীয় ডাইভার। ছোট মেয়ে মাধ্যমিক দেবে ২১এ। এখনও স্টিয়ারিঙটা ধরে আছেন প্রতিমা।
হাতের কাজেও দড় প্রতিমা। স্বীকৃতি জানিয়েছে রাজ্য সরকারও। বাস চালক প্রতিমা এখন অনুপ্রাণিত করেন অন্য মেয়েদের।