প্রশান্ত কিশোর বারংবার বলেছিলেন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে তৃণমূল। এদিনের ফল দেখে তাঁর মুখে মৃদু হাসি। বললেন, "এত বড় জয় কী ভাবে এল তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয় কিন্তু মানুষ তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে এটা নিশ্চিত।"
বাংলা বিজয়ের লড়াইয়ে নেমে এবার কোনও চেষ্টার কসুর করেনি বিজপি। বাইরে থেকে এসেছেন বহু হেভিওয়েট নেতা। এই আসাযাওয়া নিয়ে নানা সময়ে সুরও চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই প্রসঙ্গেও মুখ খুলতে দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরকে। প্রশান্ত কিশোরে কথায়, প্রতিদিন কেন্দ্রীয় স্তরের রাজনৈতিক নেতারা এ রাজ্যে আসছিলেন, বিজেপির লোকবল অর্থবল দুইই ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো এত বড় রাজ্যে জয় সুনিশ্চিত করতে সেটুকুই যথেষ্ট নয়।
advertisement
বিজেপি কেন এত বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল সে বিষয়েও স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে চাণক্যর। তাঁর যুক্তি, "বিজেপি বাংলার প্রচারে ২০১৯-এর তত্ত্বই খাটাতে চেয়েছে। বাংলার ভোটের জন্য কোনও আলাদা তত্ত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি এই দল।"
অতীতে ২০১৮ সালে কাজ করেছেন নরেন্দ্র মোদির দলের হয়ে। কাজ করেছেন বিহারে জেডিইউ-র হয়ে। বেশির ভাগ সময়ে জয় এসেছে। কিন্তু জিততে জিততেও যেন ক্লান্ত প্ৰশান্ত কিশোর। আজ নিউজ১৮-কে বললেন, আমি কখনও টিম এ কখনও টিম বি-এর হয়ে কাজ করেছি। এবার আমার বিরতি নেওয়ার সময় এসেছে।
এত নিখুঁত বিশ্লেষণ ক্ষমতা, এত নৈপুণ্য, তবু নিজেকে আজও নিজেকে ছাত্রই মনে করেন প্রশান্ত কিশোর। ভুলগুলোকে এখনও পড়তে পারেন হাতের তালুর মতো। অকপট হয়ে আজ বললেন, "আমি রাজনীতি করতে গিয়ে বহু ভুল করেছি। আমার বহু জিনিস শিখতে হবে। আপাতত এই স্থানটি আমার ছেড়ে দেওয়া উচিত।"
এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। এই খবরটি সবিস্তারে আসছে কিছুক্ষণেই। খবরটি বিস্তারিত পড়তে অল্প সময় পরে পাতাটি রিফ্রেশ করুন। ভোটের দিন ঘোষণা থেকে ফল-প্রতিদিন প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আমরা। আপনাকে সত্যনিষ্ঠ, নির্ভুল খবর দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।