এই ফেক কলার পাঞ্জাবি কংগ্রেস নেতাদের বলছেন, সর্বসমক্ষে অমরিন্দর সিং-এর বিরোধিতা করলে তাঁদের কথা দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর। অর্থাৎ বার্তাটি দেওয়া হচ্ছে এমন ভাবে যে প্রশান্ত কিশোর নিজেই চাইছেন দিল্লিতে এই ধরনের বিরোধাভাস যাক। প্রয়োজনে দায়িত্ব নিয়ে সেই কথা পৌঁছে দেবেন তিনি। বলাই বাহুল্য এই ঘটনার সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের কোনও সম্পর্কই নেই।
advertisement
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪১৬, ৪১৯, ৪২০, ১০৯, ১২০ বি ধারা এবং আইটি আইনের ৬৬ ডি ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।
উল্লেখ্য দিন কয়েক দিন ধরেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং নভজোৎ সিং সিধুর মনোমালিন্য প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এই দ্বৈরথ থামাতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে পাঞ্জাব কংগ্রেস। তারা সরাসরি রিপোর্ট দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধিকে। এই কমিটিতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, হরিশ রাওয়াত, জেপি আগারওয়াল। মনে করা হচ্ছে এই দ্বৈরথের সুযোগ নিয়ে কেউ উস্কানিমুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালেও প্রশান্ত কিশোর পঞ্জাবে কংগ্রেসের নির্বাচন স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন। চলতি বছর মার্চ মাসে তাঁকে অমরিন্দর সিং-এর মুখ্য উপদেষ্টা করা হয়েছে। জল্পনা রয়েছে, প্রশান্ত কিশোর ভোটের টিকিট সরবরাহের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। যদিও অমরিন্দর সিং এর দাবি প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা স্রেফ পরামর্শদাতার।