নবান্ন সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে পঁচিশটি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লক খেজুড়ি, নন্দকুমার, তমলুক, ভগবানপুর হাজির হয়েছিলেন। তারা নিজেরাই তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। তা দেখিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। খোঁজ খবর নেন। শেষে শনিবারই ফিরে গিয়েছেন। মালদহতেও একই চিত্র। জেলার ১৫ ব্লকের মধ্যে কেন্দ্রীয় দল হাজির হয়েছিলেন ইংলিশবাজার, কালিয়াচক ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ব্লকে। তাদের আনা তালিকা দেখে মেলান। খোঁজ খবর নেন। কাজ শেষ।
advertisement
তালিকা তৈরির কাজ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। বরং দুই জেলাতেই তাঁদের কথা বার্তায় কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। তবুও নিশ্চিন্ত হতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁদের প্রত্যেকের একটাই কথা, "আগে রিপোর্টটা কী দেয় দেখি। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।"
পূর্ব মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বহু উপভোক্তা টাকা পেতে শুরু করলেও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের কাজও জেলা প্রশাসন চালাচ্ছে সমান তালে। জেলার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এক হাজারের বেশি অভিযোগ করেছে। সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এগ্রার মতো কয়েকটি ব্লকে অভিযোগ বেশি। মালদহে এখনও উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। তা বলে তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর অভিযোগ এলে তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না। প্রতিদিনই নানা লোক নানা অছিলায় অভিযোগ করছে। অনেকের নাম বাদ যাওয়ায় তারাই অন্যের নামে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে হয়রান করানোর চেষ্টা করছে। এই জেলাতেই যাচাইয়ের সময় আবাস প্লাস ডেটা ব্যাঙ্কের ৪৫ হাজার নাম বাদ পড়েছে। ১ লক্ষ ৬৭ হাজার নাম ছিল এই তথ্য ভাণ্ডারে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়