প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও(অডিও) পোস্ট করা হয়৷ সেখানে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জন্যে এক লক্ষ টাকা দাবি করা হচ্ছিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে ২০১৬ সালে রাজনীতির ইনিংস শুরু করেছিলেন প্রবীর ঘোষাল। যদিও ২০২১-এর বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে থাকে জোড়া ফুল শিবিরের৷
advertisement
রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই চার্টাড ফ্লাইটে তিনি দিল্লি উড়ে গিয়ে, অমিত শাহের উপস্থিতিতে যোগ দেন বিজেপি-তে৷ তাঁকে দল প্রার্থী করে উত্তরপাড়া আসনেই৷ সেখানে অবশ্য পরাজিত হন তিনি৷ যদিও ভোটে লড়তে গিয়ে কী ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে, সেই অভিজ্ঞতাই তিনি তৃণমূলের মুখপত্রে সম্পাদকীয় পাতায় লিখেছেন৷
আরও পড়ুন: BJP-র অন্দরে বিড়ম্বনা বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর, এবার পদত্যাগ হাওড়া জেলা সম্পাদকের!
তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, "প্রবীর ঘোষালের বিজেপিতে অল্প সময়ের অভিজ্ঞতাটাই বিজেপির মুখোশ খোলার পক্ষে যথেষ্ট।" ফলে প্রবীর ঘোষালের এই লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তাঁর লেখায় প্রবীর বাবু উল্লেখ করেছেন, ''ভোটের মাঝপথে আমি লড়াই থেকে সরে আসতে চেয়েছিলাম। দুঃসহ অবস্থার মধ্যে দু'বার আমি ভোটের ময়দান থেকে সরে আসতে চেয়েছিলাম। একদিন রাতে তো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও ফেলেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে ভোটে লড়ছি না ঘোষণা করলে, গোটা রাজ্যে বিজেপির মুখ পুড়তে পারে। এই আশঙ্কায় বিজেপির কয়েকজন নেতা ছুটে আসেন। তাঁরা কার্যত আমার হাতেপায়ে ধরে অনুরোধ করেন, 'আমাদের এতবড় সর্বনাশ করবেন না'। এখন মনে হয়, তাঁদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেই বোধহয় ঠিক কাজ হত। কারণ বিজেপির মতো দিশাহীন একটি রাজনৈতিক দলে আমাদের মতো মানুষরা নিঃসন্দেহে একেবারেই বেমানান!''
আরও পড়ুন: পুরভোটে পয়সা নিয়ে প্রার্থী? শোরগোল ফেলা অডিও নিয়ে এবার দিলীপ ঘোষ বললেন...
কেন বেমানান তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ''কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যে কাজ করতে হয়েছে তা কাকে বোঝাব। রোজ নির্বাচনী কেন্দ্রের চারদিক থেকে শুধু ঝগড়া নয়, নিজেদের মধ্যে মারামারির খবরও আসতে লাগল।'' নিজের হেরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "বুঝতে পারিনি বিজেপির ভিতরটা কতটা নরকগুলজার হয়ে আছে। অবশ্য নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে এসেছে ততই পদ্মফুলের কদর্য কাজিয়ার চেহারাটা গোটা রাজ্য জুড়ে বেআব্রু হয়ে পড়েছে। ব্যতিক্রম আমার নির্বাচনী কেন্দ্রও ছিল না।"এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পুরনো দলেই ফিরছেন প্রবীর ঘোষাল? তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ''সময় সব বলে দেবে।''