প্রতিযোগিতায় একধাক্কায় দেড় টাকা কমতে পারে বিদ্যুতের দাম। খোলা বাজারে প্রতিযোগিতার না থাকায় বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিগুলি একচেটিয়া মুনাফা লুটছে। কলকাতায় বিদ্যুৎ বন্টনের দায়িত্ব সিইএসসির।
বিদ্যুতের সংস্থা ইউনিট প্রতি নূন্যতম দাম
- সিইএসসি ৬
- রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ৫.২০
খোলাবাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে বিদ্যুতের দাম দেড় টাকা কমতে পারে। শহরের এক অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই দাবি ইন্ডিয়া পাওয়ার সংস্থার কর্ণধারের।
advertisement
দেশের বিদ্যুৎ মানচিত্রে নজির গড়েছে আসানসোল ও রানিগঞ্জ। সেখানকার মানুষ হাতে পাচ্ছেন চারটি বিকল্প। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, ডিপিএল, ডিভিসি এবং দিশেরগড়। প্রতিযোগিতার বাজারে সেখানে বিদ্যুৎ দাম হবে সাড়ে চার টাকা। টেলিমকের মতো বিদ্যুৎ শিল্পে সর্বত্রই এমন খোলা প্রতিযোগিতা হলে বিদ্যুতের দাম কমতে বাধ্য বলে দাবি হেমন্ত্ কানোরিয়ার। বর্তমানে দেশজুড়ে সমস্যার মুখে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি। শুধু এরাজ্য নয়, দেশজুড়ে বিদ্যুতের উৎপাদন বেশি। সেই তুলনায় চাহিদা কম। ইন্ডিয়া পাওয়ার সংস্থা তিন হাজার দু'শো কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হলদিয়ায়।
রাজ্যে ইন্ডিয়া পাওয়ারের বিনিয়োগ
- দেড়শো মেগাওয়াটের ৩টি ইউনিট তৈরির জন্য বিনিয়োগ করেছে সংস্থা
- প্রথম ইউনিটটি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে
- দ্বিতীয় দেড়শো মেগাওয়াটের ইউনিটটি ২-৩ মাসের মধ্যেই চালু হবে
- তবে চাহিদা না থাকায় তৃতীয় ইউনিটটি এখনই চালু করবে না সংস্থা
তবে, রাজ্যে বিনিয়োগের ভবিষ্যত ভাল বলেই দাবি ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্তার ৷ বিদ্যুতের দাম কমলে শিল্প আসার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই প্রতিযোগিতার বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রির দাবি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলির। একই দাবি সাধারণ গ্রাহকদেরও। কারণ প্রতিযোগিতার বাজারে বিদ্যুতের দাম কমলে আখেরে লাভ হবে গ্রাহকদেরই।