শিয়ালদহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের সামনে এবং আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের গেটের সামনে তার বিরুদ্ধে কাটমানি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক কমিটির নামাঙ্কিত এই পোস্টারে রেয়াত করা হয়নি তাঁর বসত বাড়িটিকেও। যেখানে একটি ঘরে পাশাপাশি ৩টি এসি মেশিন বসানো আছে। এছাড়াও সুরী লেন ও প্রাচী সিনেমা হলের পাশে সার্পেন্টাইল লেনে তিনি একের পর এক বাড়ি নিজের দখলে নিয়েছেন বলে পোস্টারে ছবি সহ অভিযোগ করা হয়েছে ।
advertisement
শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের সামনে রুটির দোকান চালাতেন মৌসুমির পরিবার। পাশাপাশি সেন্ট পলস স্কুলে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন মৌসুমির বাবা। ২০১০ সালে এই আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো থেকে প্রথম বারের জন্য কাউন্সিলর হন মৌসুমি । মাত্র ১০ বছরেই দুবারের কাউন্সিলরের সম্পত্তির পরিমান ৫০০ গুণ বেড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ। রুটির সেই দোকান এখন বিশাল হোটেল।
কলকাতায় স্থাবর সম্পত্তি ৮টি । মন্দারমণিতেতে ৬ টি রিসর্টের কাজ চলছে। এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে নিয়মিত তোলাবাজি, নতুন কোনও কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু হলেই কাটমানি খাওয়া সহ বিস্তর অভিযোগ বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমি দের বিরুদ্ধে।
আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলীয় নেতাকর্মীদের কাঠমানি খাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছিলেন, তখনও এই কাউন্সিলর মৌসুমি দের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগে এলাকায় পোস্টার পড়েছিল। তবে যেহেতু সামনেই পুরসভা ভোট, ফলে নতুন করে এই কাটমানির পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
যদিও কাউন্সিলর মৌসুমি দে গোটা ঘটনায় বিজেপি এর যোগ দেখতে পাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, এর আগেও এলাকায় এ রকম পোস্টার পড়েছিল।মানুষ জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুকূল্যে কলকাতা পুরসভা কত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ও তার ব্যতিক্রম নয়।এই জায়গায় যা কাজ হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি।
বিরোধীরা হালে পানি না পেয়েই এই সমস্ত কাজ করছে। আমার নামে কুরুচিকর পোস্টার নিয়ে আমি কোনো জবাব দেবো না। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছে,এলাকার মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে এই পোস্টার লাগিয়েছে।কাট মানি খেতে খেতে কাউন্সিলর যা ছিল,আর যা হয়েছে,তাতে তিতিবিরক্ত হয়েই এই পোস্টার।
তবে স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ দের দ্বারা লাগানো এই পোস্টার যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,টা স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
AVIJIT CHANDA