ঘটনার সূত্রপাত বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। রোজকার মতোই ভিড়ে ঠাসা মধ্য কলকাতার বড়বাজারের পোস্তা এলাকা। সেইসময় (CCTV FOOTAGE) গণেশ টকিজের কাছে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। ধ্বসংস্তূপের তলায় তখন বহু মানুষ চাপা পড়ে। পুলিশ-দমকল-বিপর্যয় মোকাবিলা দলে কাজ না হওয়ায়, তড়িঘড়ি ডাক পড়ে সেনাবাহিনীর। সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গ্যাসকাটার দিয়ে কংক্রিটের চাঙড় ও লোহার বিম কেটে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সন্ধে গড়াতেই দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধারকাজ চলাকালীন ঠায় বসে থাকেন। শেষমেষ উড়ালপুল চাপা পড়ে সাতাশজন প্রাণ হারান। আহতের সংখ্যা ছিল আশিরও বেশি।
advertisement
উড়ালপুল বিপর্যয়ের দায় কার? বিগত বাম আমলের? নাকি বর্তমান তৃণমূল সরকারের? উড়ালপুল বিপর্যয়ে রাজনীতির রং লাগতে খুববেশি সময় লাগেনি। ভোটের আগে ভেঙে পড়া উড়ালপুলকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগে বাম-কংগ্রেস জোট। পালটা বামেদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তদন্তে নেমে নির্মাণ সংস্থা IVRCL-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। কলকাতা এবং হায়দরাবাদের অফিস থেকেও সংস্থার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। আংশিক দায় চাপে পূর্ত দফতরের ঘাড়েও। নকশার গলদের জন্য ভেঙে পড়া উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। দিনের শেষে অবশ্য রাজনীতির রং ছাপিয়ে গিয়েছে উড়ালপুলের গায়ে লেগে থাকা রক্তের দাগকে।