প্রসঙ্গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির তরফে অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় তাদের কর্মীদের খুন করা হয়েছে। আবার অনেকে দীর্ঘ দিন ঘর ছাড়া ছিল। উল্লেখ্য সেই সময় ইলামবাজারের এক বিজেপি কর্মী খুন হন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই অনুব্রত মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ, চালক, দেহরক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসেরও বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। এবার ডেকে পাঠানো হয়েছে লাভপুরের বিধায়ককে। এখন দেখার অভিজিৎ সিনহা হাজিরা দেবেন, না কি তিনিও আইনজীবী পাঠিয়ে সময় চেয়ে নেবেন।
advertisement
তবে এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার টানা কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রতকে। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল-সহ বীরভূম তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মী ও প্রভাবশালী সিডিআর হাতে পেয়েছে তদন্তকারীরা। সেই ফোন ডিটেলস রেকর্ড খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা। অনুব্রতকেও সরাসরি তার ফোন কল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। যাচাই করতে তাঁর ফোন থেকে কল করাও হয় বলেই খবর। তেমন ভাবেই যদি শনিবার অভিজিৎ সিনহা হাজিরা দেন তাহলে তার ফোন কল নিয়ে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। করা হবে বয়ান রেকর্ড। কারণ, এক সিবিআই কর্তা জানিয়েছেন, এই মামলার ক্ষেত্রে ফোন কল ডিটেলস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঘটনার দিন, বা তার আগে ও পরে কে কার সাথে কি বিষয়ে কথা বলেছেন, তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Amit Sarkar