বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানেই অনুব্রতর পক্ষ থেকে সিবিআই-এর কাছে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। জানানো হয়, হাইপারটেনশন ছাড়াও একাধিক রোগ রয়েছ অনুব্রতর। এছড়াও সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। করোনা আবহে সেই কারণেই সমস্যা রয়েছে বলে জানান অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবী।
advertisement
পাল্টা অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বলেন, এ ভাবে রক্ষা কবচ চাওয়া আগাম জামিনের সমান। স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে কোনও বিষয় নয়। অনুব্রত কেনই বা গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন? আর যদি গ্রেফতারের আশঙ্কাই করেন, তা হলে আগাম জামিন কেন চাইছেন না? সেই সময় বিচারপতি সিবিআই-এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি মনে করছেন, হেফাজতের দরকার আছে? অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সবটা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন : পাঠশালা আবার খুলবে, জোরকদমে স্কুলড্রেস কেনার হিড়িক
পাশাপাশি, অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এটাও বলেন, যে অনুব্রত একবার জানিয়েছেন তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা আছে, এক বার বলেছেন ক্রনিক অ্যাস্থমা আছে, এ দিকে উনি ৩১ তারিখও ট্রাভেল করেছেন, যাতায়াত করেছেন, এর কী মানে? পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, আমি বোলপুরে থাকি, আমাকে ডেকেছে দুর্গাপুরে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কী আবেদন করছেন অনুব্রত? অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তাঁদের জায়গা মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হোক আর রক্ষা কবচ দেওয়া হোক। এ ছড়া কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ হবে, বোলপুর না দুর্গাপুর, তাই নিয়েও চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট।
Arnab Hazra