এদিকে নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা কতগুলি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, একটি গর্ত ধরা পড়লেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মেরামত করতে হবে। বিটুমিনাস রোড সরাতে হবে। খরচ বেশি হলেও কংক্রিটের রোডের দিকে ঝুঁকতে হবে। জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়ক যে নকশায় বানানো হয়, তা কখনওই গ্রামের রাস্তায় থাকে না। ফলে ওভারলোডেড গাড়ি শুধু নয়, যে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি এই সব রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়।
advertisement
তাঁর পরামর্শ, রোড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি রোড হেলথ মনিটরিং করুক। না হলে বোঝা মুশকিল কোন কোন রাস্তার কী কী অবস্থা হচ্ছে। আগে ২০ বছরের স্থায়িত্ব ধরে রাস্তা বানানো হত। এখন গাড়ির চাপ যে ভাবে বেড়েছে সেটা ১০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। কাগজে কলমে থাকা পণ্যের ওজন আর বাস্তবে ওজনে ফারাক অনেক। তাই পুলিশের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। টোল প্লাজায় ওজন মাপার ব্যবস্থা হোক। অতিরিক্ত ওজন নিলে ফাইন হোক মোটা টাকার। এটাই রাস্তা টেকানোর উপায়।
আর এক রাস্তা বিশেষজ্ঞ সুব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, আবহাওয়া ও মাটির চরিত্র এখানে রাস্তার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। তাই রাস্তার ব্ল্যাক টপ ঠিক রাখা জরুরি। যে কারণে ব্যবহার করা উচিত মাইক্রোসারফেসিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, ফাইন চিপস, সিমেন্ট, বালি, বিশেষ রাসায়নিক, জল ও বিটুমিন একসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে জল রাস্তার ওপরের আস্তরণ সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
বিটুমিন প্রস্তুতকারক এক সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় ডালমিয়া জানিয়েছেন, মাইক্রোসারফেসিং অনেক কম খরচে অনেক উপযুক্ত একটা বিষয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বহু রাস্তায় এটা ব্যবহার করছে। পূর্ত দফতর চাইলে ব্যবহার করতে পারে। তাতে রাস্তার খানা খন্দ আটকানো যাবে।
ABIR GHOSHAL