পোলবার দুর্ঘটনার পর তদন্তে নামতেই সামনে এসেছে একাধিক ভয়াবহ তথ্য। সোমবার বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষা থাকলেও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে চলে পুলকার অভিযান। প্রথম দিনের অভিযানে জরিমানা করা হয় বহু পুলকারকে। সকালেই গড়িয়াহাট এলাকার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে আসে একটি পুলকার। পুলকারের নম্বর যখন কমার্শিয়াল হবার কথা, তার জায়গায় সেটিতে ছিল ডোমেস্টিক নম্বর। রাম পাসোয়ান পুলকার চালক জানান, এক-দু বছর নয়, পাঁচ বছর ধরেই এভাবে চালাচ্ছি। কোনওদিন সমস্যা হয়নি।
advertisement
স্কুলেরই এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানান, পুলকার এখন চিন্তার কারণ। শুধুই যে বে-লাগাম গতি তা নয়, অনেক পুলকার কার্যত অস্বাস্থ্যকর। এদিন কালিকাপুরে পূর্ব যাদবপুরের ট্রাফিক গার্ডের তরফে দেখা গেল চলছে পুলকার চেকিং। পুলকারের সব নথি থাকলেও টায়ার রিসোলিং করা ছিল। জানাতে চাইলে চালকের সাফাই ভাল চাকা আছে গাড়িতে, খারাপ চাকার ব্যবহার হলেও বদলানোর সময় হয়নি। তার বিনিময়ে জরিমানাও দিতে হল চালকে। এদিকে যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের তরফে চলল অভিযান। এক গাড়ির তো আবার সব নথিই খুঁজে পেলেন না চালক। ছিল না গাড়ির বিমার কাগজ। জানতে চাইলে বলেন, সবই আছে এখন পাচ্ছি না। ফলে জরিমানা দিতে হল চালককে। সব দেখে এক অভিভাবক বলেন, "সবই জানি কিন্তু উপায় নেই পুলকার ছাড়া।"
সোমবারে পুলকার অভিযানে অনেক জরিমানা হলেও প্রশ্নটা রয়ে গেল, এর পরেও কি সচেতন হবেন চালকরা? নাকি একই তিমিরে থেকে যাবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা।