তাকে চাই বা না চাই, সে হাতে চলেই আসে। কখনও আদরের পুতুল হয়ে...কখনও টুথ ব্রাশ...স্কুল ব্যাগ...
নানা চেহারায়, নানা ভাবে, নানা প্রয়োজনে প্লাস্টিক আসে ঘুরেফিরে
আরও পড়ুন: ট্রেনের ছাদে দৌড়াদৌড়ি শুরু করল মানসিক ভারসাম্যহীন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
জলের বোতল থেকে স্ট্র, চিপস-চকোলেটের প্যাকেট থেকে চামচ, প্লেট...আরও কত কী....প্লাস্টিক ছাড়া চলে না....
advertisement
কিন্তু এর মধ্যে, ৮৬ শতাংশ প্লাস্টিকই নতুন করে আর ব্যবহার করা যায় না
আর এতেই বিপদ। দিনে দিনে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ জমছে। যা কয়েকশো বছরেও মাটিতে মিশে যায় না।
ভারতে প্রতি বছর প্লাস্টিকের বর্জ্য জমা হয় ৫ লক্ষ টন
আরও পড়ুন: উবর থেকে নিখোঁজ, অবশেষে হোটেল থেকে উদ্ধার টিটাগড়ের মা-মেয়ে
জমতে জমতে প্লাস্টিকের পাহাড়। আর তা থেকেই ছড়াচ্ছে দূষণ। শরীরে ঢুকছে বিষ। এ নিয়ে ঘোর চিন্তায় বিশ্বের সব দেশ। রাষ্ট্রপুঞ্জও তাই এবার পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু, প্লাস্টিক এতটা ক্ষতিকারক কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের চাহিদা মতো প্লাস্টিকের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনে রাসায়নিক ব্যবহার করে একে করে তোলা যায় শক্ত, নরম এবং নানা রঙের। এ সব করতে গিয়ে কখনও কখনও এমন সব রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে যা থেকে ক্যানসারের মতো মারণ রোগও হতে পারে। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক গিলে খাচ্ছে সমুদ্রকেও।
আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচার করে যুবকের পেট থেকে মিলল ২ কেজি সিমেন্ট ও প্লাস্টার, হতবাক চিকিৎসকেরা
সমুদ্রের বুকে যা বর্জ্য রয়েছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশই প্লাস্টিক বর্জ্য
প্রতি বছর ২ কোটি ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন প্লাস্টিকের বর্জ্য গিয়ে জমা হচ্ছে সমুদ্রের বুকে।
এভাবে চললে, ২০৫০ সালে সমুদ্রে মাছের থেকে প্লাস্টিকের ওজন বেশি হবে
বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় ২০ লক্ষ প্লাস্টিক ব্যাগ বিক্রি হয় যা আর দ্বিতীয়বার ব্যবহার হয় না।
বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০ লক্ষ প্লাস্টিক বোতল বিক্রি হয় হয়
সমুদ্রের তলায় এই প্লাস্টিকের ব্যাগ রয়ে যায় ১০ থেকে ২০ বছর
আর প্লাস্টিকের বোতল তো নষ্টই হয় না
সমুদ্র না বাঁচলে কি এই পৃথিবীটা বাঁচবে? বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এ বিশ্বকে শেষ করে দেওয়ার জন্য পরমাণু অস্ত্রের থেকেও হয়ত ভয়ঙ্কর এই প্লাস্টিক। কিন্তু, এর থেকে বাঁচার উপায় কী? সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা তো হচ্ছে। কিন্তু, প্লাস্টিকের ব্যবহার তো কমছে না। তা হলে উপায়?