আপাতত এ নিয়ে তোলপাড় রাজনীতি। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ”ইডি তোমাকে বারে বারে ডাকছে কেন? ডালমে কুছ কালা হ্যায়।”
আরও পড়ুন- ১৭ বছর ধরে শাহরুখের বডি-ডাবল… দ্বৈত ভূমিকায় কামাল… জওয়ানের সাফল্যে আছে তাঁরও ভূমিকা! কে তিনি?
বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য লম্বা প্রতিক্রিয়া পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি তখন মধ্যগগণে। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। মাঝপথে কর্মসূচি থামিয়ে তিনি গেলেন; বুক চিতিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরেই আবার ডেকে পাঠানো হলো তাকে! কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটানোর এই ফন্দি-ফিকির ধরে ফেলতে শুরু করল বাংলার মানুষ।তারপরে পঞ্চায়েত ভোট মিটল। নোংরামির জবাবও মিলল বেশ কষিয়ে! বাবুরা বিচ্ছিরি ভাবে হেরে বেশ চুপচাপই ছিলেন! তারপরে হল ধূপগুড়ি। জেতা আসনখানা মুখের সামনে থেকে নির্মম ভাবে ছিনিয়ে নিল ছেলেটা। আর সহ্য হয়? তাই দিল্লির মাদারি তার দুই হনুমানের উদ্দ্যেশ্যে আবার ডুগডুগি বাজিয়েছেন। তাদের বলেছেন, টিম ইন্ডিয়ার সমন্বয় সাধনকারি দলের প্রথম মিটিংয়ের দিনেই আবার ছেলেটার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লম্বা লম্বা ল্যাজ নিয়ে.. আঁচড় কামড় চালিয়ে যেতে হবে আবারও কিছুদিন! মাদারির ডুগডুগি-নির্দেশ শুনে তাই আবার নেচে উঠেছে হনুমানগুলো..”
advertisement
বামেদের তরফে অবশ্য যে দিনে ডাকা হয়েছে তা নিয়ে কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে৷ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “যে দিনে ডাকা হয়েছে তাতে ডাকাও হল, আবার যাকে ডাকা হল তার না যাওয়ার কারণও থাকল। ইডি-সিবিআই কি আদৌ ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী?” তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন অবশ্য বলছেন, INDIA জোটকে ভয় পেয়েই, কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের দিনে ডেকে পাঠানো হল। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে বিজেপি৷ তবে রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ আপাতত ১৩ তারিখের দিকেই।
তবে সূত্রের খবর, ওইদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এমনটাই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর আগে তলব করে অভিষেকেককে। সেই সময় কলকাতার নিজাম প্যালেসে যান অভিষেকে।