বিজেপি-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কয়্যার থেকে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগনোর কথা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের৷ যদিও সেই হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, কলেজ স্কয়্যার- কোনও জায়গাতেই জমায়েতের অনুমতি দেয়নি পুলিশ৷ জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা৷
শুধু জমায়েতের অনুমতি না দেওয়াই নয়, নবান্নের ধারেকাছে যাতে বিজেপি নেতা কর্মীরা ঘেঁষতে না পারেন, তার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে পুলিশ৷ পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নবান্নের কয়েক কিলোমিটার আগেই আটকানো হবে বিজেপি-র সব মিছিল৷ তাই কলকাতা এবং হাওড়ার দিকে নবান্নগামী সব পথেই বিশাল পরিমাণে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ জলপথেও চলছে নজরদারি৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে সামাল দিতে উত্তরের জেলা থেকে ট্রেনে করে কলকাতায় কর্মী-সমর্থকরা
গোটা নবান্নকে ঘিরেই নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে৷ ড্রোন উড়িয়ে নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চলছে৷ পাশাপাশি নবান্নের আশপাশের রাস্তাগুলিতেও যান বাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কলেজ স্কয়্যার থেকে হাওড়া হয়ে নবান্নের দিকে মিছিল এগনোর কথা, তাই হাওড়া ব্রিজেও বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে৷ মিছিল আটকাতে সব জায়গাতেই তৈরি রাখা হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড৷ পাশাপাশি বাঁশের ব্যারিকেডও তৈরি করছে পুলিশ৷ গার্ড রেল দিয়ে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে৷
শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও বিজেপি নেতা কর্মীদের কলকাতাগামী মিছিল আটকানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশে বিরুদ্ধে৷ নন্দীগ্রামেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি-র মিছিল আটকানোর অভিযোগ উঠেছে৷