কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-এর এই পোস্ট নজরে আসতেই তড়িঘড়ি স্থানীয় থানা রিজেন্ট পার্কের কাছে খবর যায়। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ৩৩ বছরের বাড়ির ঠিকানা পেলেও হদিস মেলেনি যুবকের। বাড়ির লোকের থেকে বিভিন্ন সূত্র পেয়ে ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায় মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি দোকান-সহ গ্যারাজে মেলে ওই যুবককে।
advertisement
অচৈতন্য অবস্থায় মিললেও একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেই চিকিৎসক তাকে সুস্থ বলে জানান। আত্মীয় পরিজনের চিন্তা দূর করে বড়ুয়াপাড়ার বাড়িতে চলে আসেন টলিউডের স্ক্রিপ্ট রাইটার। মানসিক অবসাদের কারণ হিসাবে ব্যক্তিগত একটি সম্পর্কের কথাই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যদিও তার পরিবারের তরফে তার ভাই জানায়, সাম্প্রতিককালে এক জনপ্রিয় অভিনেতার পরিণতির পরে দাদার এই ধরনের পোস্ট অনেকটাই চিন্তা তৈরি করেছিল।
পুলিশের মধ্যস্থতায় ও দ্রুত কাজে ভালোই আছেন দাদা। এই ঘটনার সকালে যখন ঘটল, ঠিক তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মানসিক অবসাদে চলে গেল ১৯ বছরের একটি প্রাণ। মাণিক বন্দোপাধ্যায় সরণিতে মামার বাড়িতে থাকতেন রোহিত গুপ্তা নামে পড়ুয়া। বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ার বন্ধ ছিল ক্লাস। অনলাইন ক্লাসের জেরে বন্ধ ছিল বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা। ঘরে বসে ল্যাপটপ ও মোবাইল হয়েছিল সর্বক্ষণের সঙ্গী।
পুলিশ সূত্রের খবর মামির একটু বকাবকিতেই অভিমান করে রোহিত। তার পরে ঘরে গিয়ে দেখা যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রোহিত। তার বাড়ির তরফে জানানো হয়, বাড়ির একঘেয়ে জীবন অনেকটাই বিরক্তকর হয়ে উঠেছিল তার কাছে। মানসিক অবসাদের একটি কারন তো অবশ্যই। থানা একই, দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার, পরিণতি ভিন্ন।সসাম্প্রতিককালের একটি ঘটনা যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ভাল শিক্ষা বা প্রযুক্তি নয়, ভাল সমাজটারই অভাব।