TRENDING:

করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ! শহরের এক পুজোর থিম সং গাইবেন পুলিশকর্মীরা

Last Updated:

পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ জানাতে এই অভিনব সিদ্ধান্ত। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এএসআই অপূর্ব মজুমদার থিম সং করবেন। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রান্ত গান গেয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: "যে হাতে ওঠে গান( বন্দুক )..সেই কন্ঠেই ফোটে গান। পুজোর গানে তাঁদের পাওয়া আমাদের সম্মান।" এটাই এবার ট্যাগলাইন হতে চলেছে কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটির। পুজোর থিম সং পুলিশকর্মীদের দিয়ে গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। করোনা যুদ্ধে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মত পুলিশও প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছে। পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ জানাতে এই অভিনব সিদ্ধান্ত। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এএসআই অপূর্ব মজুমদার থিম সং করবেন। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রান্ত গান গেয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
advertisement

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন সফল করতে পুলিশকর্মীদের রাস্তায় মাইক হাতে নামতে দেখা গিয়েছিল। শহরের একাধিক থানা উদ্যোগে গান গেয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার চলে। ইন্সপেক্টর থেকে আইপিএস অফিসার অনেককেই দেখা গেছে মাইক হাতে গান গাইছেন। আবাসন, পাড়ার মানুষজন তাঁদের হাততালি দিয়ে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন। পুলিশকর্মীদের এই নবরূপ দেখে তাঁদেরকে দিয়েই পুজোর থিম সং করানোর সিদ্ধান্ত কেষ্ট পুর অঞ্চলের এই পুজো কমিটির। গান লেখা থেকে সুর করা এবং গাওয়া সবটাই করবেন এএসআই অপূর্ব মজুমদার। ক্লাব সেক্রেটারি রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, "এই বছর কত বাজেটের পুজো করতে পারব এখনও ঠিক করতে পারিনি। কী থিম হবে তাও জানা নেই। তবে ছোট করে দুর্গাপুজো করলেও আমাদের থিম সং কিংবা পুজোর গান করবেন পুলিশকর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কথা হয়েছে এএসআই অপূর্ব বাবুর সঙ্গে। তিনি গান লিখবেন। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে লেখা হবে।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

অপূর্ব মজুমদার জানান, "ছোটবেলা থেকে গান গাওয়ার শখ ছিল। কাজের চাপে সুযোগ পেলে এখনও গান করি। সিনিয়র অফিসাররা সব সময় উৎসাহ দেন। এবার একটা গুরুদায়িত্ব পেলাম। প্রথমবার কোনও পুলিশকর্মী পুজোর থিম সং লিখবেন ও গাইবেন। বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই গান লিখব।"এদিকে শনিবার ক্লাবের উদ্যোগে বাগুইআটি থানার পুলিশদের হাতে গ্লুকোজ, স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস তুলে দেওয়া হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সম্মান জানানো হয়। মিষ্টি মুখের ব্যবস্থা করা হয়। ক্লাবের তরফেও একটি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষ সমস্যায় পড়লে ওষুধ জোগাড় করা থেকে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দমকলের সাহায্যে এলাকায় সানিটাইজেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল টাকা পাঠানো হয়েছে ক্লাবের তরফে। সব মিলিয়ে করোনা আবহের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানাতে বদ্ধপরিকর কৃষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ! শহরের এক পুজোর থিম সং গাইবেন পুলিশকর্মীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল