ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হওয়ার পর নিউজ18 বাংলা-কে অরিন্দম বৈদ্য বলেছিলেন, তিনি নিজেও তার স্যারের প্রতারণার শিকার। প্রাক্তন ওই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জাওয়ান দাবি করেছিলেন, যে জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন গ্রেপ্তার হয়েছে সেই ভ্যাকসিন তিনি এবং তার পরিবার নিয়েছিল। দেবাঞ্জন দেব তাকে নবান্নের নাম করে যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল তাও জাল করা বলে তাকে পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু তিনি দেবাঞ্জন দেবকে কোথাও টাকা পয়সা নিয়ে জালিয়াতি করতে দেখেননি এই কথাটা বারবার বলেছিলেন অরিন্দম বৈদ্য।কিন্তু তদন্ত যতই এগিয়েছে ততোই অরিন্দম বৈদ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তদন্তকারীদের মনে।
advertisement
দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তিনি বহু জায়গায় তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন যে রক্তদান শিবিরে দেবাঞ্জন ছিলেন সেখানে তাকে নিয়ে গেছিল তার প্রাক্তন এই নিরাপত্তারক্ষী। রাজপুরের যে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার বড় কর্তা পরিচয় দিয়ে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিতে যেত। সেখানেও তাকে নিয়ে গেছিল অরিন্দম। এই ধরনের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে পৌঁছায়। তারা নিশ্চিত হোন যে দেবাঞ্জন ছায়াসঙ্গী অরিন্দমও তার জালিয়াতি চক্রের অংশ ছিলেন। এরপর অরিন্দমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথার মধ্যে একাধিক অসংগতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। তারপরই শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দেবাঞ্জনের কসবার অফিসের অভিযান চালায় তদন্তকারীরা। সেখান থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী একটি পোশাক উদ্ধার করে। অরিন্দম বৈদ্য জেরায় জানিয়েছে, এই পোষাক পেতে দেবাঞ্জনকে সাহায্য করেছিল। এরপর দেবাঞ্জনের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় তদন্তকারীদের মনে। দেবাঞ্জন কি এরপর কলকাতা পুরসভার বড়কর্তা সেজে জালিয়াতির যে জাল বুনে ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে সীমান্তে নতুন কোনও পরিকল্পনা করছিল? সেই পরিকল্পনায় অরিন্দম বৈদ্যের কি ভূমিকা ছিল তা নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা।