ছিপছিপে চেহারা। লম্বাটে গড়ন। ঝকঝকে কথাবার্তা। শুভব্রত মজুমদার। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনা। পূর্ব কলকাতার এক কলেজ থেকে লেদার টেকনোলজি নিয়ে স্নাতক। রহস্যেমোড়া তাঁর জীবন। মাসতুতো বোনের সঙ্গে বিয়ে। সংসারে টানাপোড়েন। মায়ের মৃত্যুর পর ফের বাড়িতে ফেরা। কিন্তু কোথায় তাঁর স্ত্রী ? একাধিক বিদেশি ভাষা জানা এই যুবক বিশ্বাস করতেন মা ফিরবেন। সেই বিশ্বাসেই কী মায়ের দেহ আগলে রাখা, নাকি অন্য কোনও ছক। গত তিন বছর মায়ের মোটা পেনশন ডেবিট কার্ডে তুলেছেন। আর এখানেই সন্দেহ পুলিশের।
advertisement
কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের নিউআলিপুর শাখা থেকে নিয়মিত বাণী মজুমদারের পেনশন তুলেছিলেন শুভব্রত। কী ভােব তুললেন এই টাকা ? ব্যাঙ্কে লাইফ সার্টিফিকেট দিলেন কী ভাবে ? কেন এই ব্যাপারে শুভব্রতকে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি ? তা-হলে কী ওই ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীও এর পিছনে যুক্ত ? এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই ওই ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মী পুলিশের নজরে। জেমস লং সরণীর মজুমদার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। বেলা চারটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত গোটা বাড়ি পরীক্ষা করে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার প্রায় গোটা দিন ধরে জেরার পর শুভব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য ও পরিবেশ দূষণের দায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।