২৯ এপ্রিল গভীর রাতে দুর্ঘটনার পর বিক্রম ও সোনিকাকে রুবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সের বয়ান রেকর্ড করা হয়। জানতে চাওয়া হয়,
- বিক্রম ও সোনিকাকে কী অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল
- কোথায় চোট-আঘাত ছিল
- হাসপাতালের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা
এদিনও রুবি হাসপাতালে এসেছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ৷ বিক্রমের ক্ষতস্থানের সেলাই কাটা হয় বৃহস্পতিবার ৷
advertisement
একবার দাবি করেছিলেন দুর্ঘটনার দিন মদ খেয়েছিলেন। বয়ান বদলে পরে জানান মদ খেলেও, বেশামাল গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় ছিলেন না। খাঁড়া করেছিলেন দুর্ঘটনার অন্য যুক্তিও। পরপর ম্যারাথন জেরার পরও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়, দুর্ঘটনার দিন ঠিক কী অবস্থায় ছিলেন বিক্রম। এবার তাই বিক্রম-সনিকার চার বন্ধুর গোপন জবানবন্দি নিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন,
- সিরিন আশফাক
- অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- পৃথা গুহ
- নাজিয়া পারভিন
দুর্ঘটনার আগের দিন ২৮ এপ্রিল সন্ধেয়, এই চারজনই বিক্রম-সনিকার সঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে ছিলেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য গাড়িতে করে চারজনকে আদালতে নিয়ে আসেন।
গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেল সোনিকা সিং-এর মৃত্যুর পর, বিক্রমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ৩০৪-এর এ ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বন্ধু এবং চিকিৎসক-নার্সদের বয়ানের পর মোড় ঘুরতে পারে তদন্তে। অভিনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হতে পারে ৩০৪ অর্থাৎ জামিন অযোগ্য অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা। যদিও এই ধরনের অনেক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, সরাসরি খুনের অভিযোগে ৩০২ ধারায় মামলা রুজুরও নজির আছে।