উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত থানাগুলির মধ্যে এই কেএলসি থানার একটি অংশে পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। তারই প্রস্তুতির খোঁজ নিলেন পুলিশ কমিশনার। কথা বলেন থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। লালবাজারের অন্য বেশ কয়েকজন কর্তাকে সঙ্গে নিয়েই পুলিশ কমিশনার পৌঁছে যান কেএলসি থানায়।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, সমস্ত রকম ভাবে তাঁরা প্রস্তুত। এলাকায় টহলদারি চালানো হচ্ছে। কড়া নজরদারি রয়েছে। ভোটের দিন কোনও ধরনের হিংসা যাতে না হয়, তা রুখতেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় যে ভাবে ভাঙড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তারপর থেকেই ভাঙড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। শান্ত রাখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। গত শনিবার বিকেলেই ভাঙড়ে এসেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই ভাঙড়, কাশীপুর, কেএলসি থানা এলাকায় টহলদারি শুরু করেছে বাহিনী। দু’একদিনের মধ্যে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে ভাঙড়ে। তার আগে এ দিনের পুলিশ কমিশনারের সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
শুধু যে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা গিয়েছিলেন, এমনটা নয়। এ দিন সকাল থেকেই শহরের একাধিক থানা পরিদর্শন করেছেন পুলিশ কমিশনার। কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সিঁথি, টালা, কাশীপুর থানায় যান তিনি। উল্টোডাঙা থানায় গিয়েও খোঁজ নেন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা, অপরাধের হার নিয়ে। এরপরই যান কেএলসি। তারপর ইস্ট ডিভিশনের আনন্দপুর থানাতেও গিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার।
আরও পড়ুন: কখনও কালো হন্ডা…, কখনও সাদা স্করপিও…! ED তলবের পরেই সায়নীর ‘গতিবিধি’ বাড়াচ্ছে গুঞ্জন
লালবাজার সূত্রে দাবি, এটা রুটিন পরিদর্শন। প্রায়শই পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন থানা এলাকা নিজে ঘুরে দেখেন। সপ্তাহ খানেক আগে রাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন শহরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য। সেই দিন পার্ক সার্কাস, তিলজলা, তোপসিয়া এলাকার পাশাপাশি বন্দর এলাকার বেশ কিছু জায়গা তিনি ঘুরে দেখেছিলেন।
শুধু পুলিশ কমিশনার নন, রাতের শহরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রতি সপ্তাহেই লালবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বা জয়েন্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা নাইট ভিসিটে বেরোন।