আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানই শেষ নয়, সবে শুরু! কালী পুজোর পর বড় ইঙ্গিত সুকান্ত মজুমদারের
আরও পড়ুন: উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? অভিষেককে নিশানা দিলীপের! চরম হুঁশিয়ারি
চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর রক্তে প্লেটলেটের দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে তাঁর শরীরে জলের মাত্রার দিকেও। তবে এখনও তাঁকে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
advertisement
গত কিছু দিন ধরেই কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিবছরই বর্ষার সময় ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিলেও গত দু'বছর করোনার কারণে ডেঙ্গি অনেকটাই নিস্তেজ ছিল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালে গোটা রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। এ বছরে বর্ষার শুরুতে ডেঙ্গির প্রভাব খুব একটা নজরে না আসলেও অগাস্টের শুরু থেকেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়তে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার রাজ্যে নতুন করে ৫৩৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৮৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
সবথেকে বেশি প্রকোপ কলকাতা,উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ,দার্জিলিং জেলায়।গ্রামে ডেঙ্গি আটকাতে নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের যে সমস্ত এলাকায় তুলনামূলক ভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়িয়েছে সে রকম ১৮ টি ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ব্লকগুলিতে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দিতে পঞ্চায়েত দফতর থেকে ক্যুইক রেসপন্স দল করা হয়েছে। পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য রাজ্যের এই ১৮টি ব্লকে ক্যুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে।
এছাড়াও হাওড়া পুরসভা, বালি পুরসভা, বিধাননগর পৌরসভা, কামারহাটি পৌরসভা, দক্ষিণ দমদম পৌরসভা এবং শ্রীরামপুর পৌরসভায় ডেঙ্গু আটকাতে বিশেষ নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।