শনিবার রাতে তিলজলা, বেনিয়াপুকুর তপসিয়া ও কড়েয়া এলাকায় যৌথভাবে হানা দেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ও থানার বিশেষ দল। ওই এলাকার কোন কোন দোকানে চিনা মাঞ্জা সুতো বিক্রি হয় তা আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রেখেছিল গোয়েন্দারা। সেই মতো রাতে দোকানগুলিতে হানা দিয়ে বিক্রেতাদের গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মাঞ্জা সুতো, লাটাই ও ঘুড়ি। গোয়েন্দা বিভাগের এক অফিসার জানিয়েছেন, এনভায়রণমেন্ট প্রটেকশন অ্যাক্ট এবং লকডাউনে সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
advertisement
সম্প্রতি আখতার খান নামে এক ব্যক্তি নিজের মোটর বাইকে করে মা উড়ালপুল দিয়ে ওয়াটগঞ্জের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই তার গলায় পেঁচিয়ে যায় চিনা মাঞ্জা সুতো। গভীরভাবে কেটে যায় গলা। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
আখতারের মৃত্যুর পরেই তৎপর হয় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসইডি) দেবস্মিতা দাস বলেন, "চিনা মাঞ্জা সুতো ও ঘুড়ি বিক্রির অভিযোগে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘুড়ি ওড়ানোর অন্যান্য সামগ্রীও প্রচুর পরিমাণে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।। আমাদের নজরদারি এখনও চলছে।"
কিন্তু পুলিশি অভিযানের পরেও রবিবার মা উড়ালপুলের দু'দিকেই বিভিন্ন বহুতল বাড়ির ছাদ থেকে ঘুড়ি ও রাতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে আতঙ্কিত মোটরবাইক আরোহীরা। সত্যেন দাস নামে এক মোটরবাইক আরোহী এদিন দুপুরে পার্ক সার্কাস থেকে বাগুইহাটিতে জরুরি কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যেকদিন মোটরবাইকে যাতায়াত করতে হয়। পুলিশি অভিযানের পরেও তো ঘুড়ি উড়ছে। আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।"