মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের প্রতিনিধি দেখা করার জন্য দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সময় ধার্য্য করা হয় | পুলিশের কাছে তাঁদের দাবি ছিল, দুপুর আড়াইটে মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা না হলে তাঁরা আন্দোলন করবেন | বেলা পৌঁনে তিনটে নাগাদ হঠাৎ নির্ধারিত রুট বদলে উল্টো দিকে হিন্দ সিনেমার দিকে যেখানে পুলিশি নিরাপত্তা ঢিলেঢালা ছিল সেদিকে ধেয়ে যায় পার্শ্ব শিক্ষকরা, অভিযোগ পুলিশের | গার্ডরেল লাঠি মেরে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয় তাঁরা | ব্যাপক অশান্তি শুরু হয় | পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে | ছুটে আসে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স ও পুলিশের বিশাল বাহিনী | মূলত পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা প্রদান সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ বেতন কাঠামো সহ এক গুচ্ছ দাবি পার্শ্ব শিক্ষকদের৷
advertisement
মুচিপাড়া, বড়বাজার সহ একাধিক থানার পুলিশ ও লালবাজারের মহিলা পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে | আসেন ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার | বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চার্জ করা হয় | ধস্তা ধস্তি মারধর শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে | গার্ড রেল ছুড়ে ফেলে দেয়, রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে শিক্ষকদের তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে | পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, সাত জন আহত হয়েছেন | ঘটনায় বাহাত্তর জন আটক করা হয়েছে যার মধ্যে বারো জন ছিলেন মহিলা | এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তা ধস্তির ঘটনাতে যাদের আটক করা হয়েছিল তাদেরকে মুক্তি দাবিতে ফের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষকরা | দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে | শেষ পর্যন্ত আটক শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়ার কথাতে রাজি হন পার্শ্ব শিক্ষকরা | বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় | খুলে দেওয়া হয় রাস্তা দুদিকের গার্ড রেল | যান চলাচল স্বাভাবিক হয় | তবে বারবার শিক্ষকদের এধরণের অভিযান সমাজের কাছে কোন বার্তা দিছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ |
Arpita Hazra