#কলকাতা: পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম-এ ভর্তি থাকা দিব্যাংশু ভগতকে আজই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে । পারিবারিক সূত্রে খবর, সন্ধের দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে খুদে পড়ুয়াকে।
দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হলেও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি সে। তাই স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বেশ কিছুদিন, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কথা কম বললেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাড়িতে নিয়ে গেলে চেনা পরিবেশে, চেনা মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করলে স্বাভাবিক হবে সে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়াদাওয়াও ঠিকঠাক করছে দিব্যাংশু। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া হবে। বাড়িতে থেকেও নিয়মিত ভাবে কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে দিব্যাংশুর পরিবারকে। তবে এখনও দিব্যাংশু বিবরণী ঠিক করে দিতে পারছে না ।
advertisement
দিব্যাংশুর মা রিমা ভগত জানিয়েছেন, তাঁরা খুব খুশি দিব্যাংশু সুস্থ হয়ে ওঠায় ৷ কিন্তু তাঁর ছেলের সহপাঠী ঋষভ বেঁচে না ফেরায় তাঁরা দুঃখিত। ভবিষ্যতে যেন ঋষভের পরিবার বা তাঁদের পরিবারের মতো কাউকে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যেতে হয়, এমনটাই মত দিব্যাংশুর মায়ের। তাঁর দাবি, প্রশাসন যেন শক্ত হয়ে পুলকার ও পুলকার চালকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনেন। পুলকার সংক্রান্ত নিয়মকানুন মানা না হলে যেন কড়া হতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীরামপুর থেকে ২৫ জন খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলে আসছিল পুলকারটি। দিল্লি রোডের পোলবা থানার কামদেবপুরে একটি লরির পেছনে ধাক্কা মেরে পুলকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে প্রায় কুড়ি ফুট নীচে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঋষভ সিং ও দিব্যাংশু ভগতকে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে কলকাতায় এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়। প্রায় নয় দিন লড়াইয়ের পর শনিবার ২২ তারিখ মৃত্যু হয় ঋষভের। দিব্যাংশুর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।