কবির পুত্রবধূ সুদেষ্ণা চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। একটু ঠান্ডা লেগেছিল। ফুসফুসে সমস্যা ছিল করোনার পর থেকে।
অরুণ চক্রবর্তী শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে হিন্দুস্থান মোটরে চাকরি করতেন।
তখন থেকেই লেখালেখি করতেন। অসংখ্য কবিতা রয়েছে কবি অরুন চক্রবর্তীর। তবে ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ কবিতা তাঁকে অন্য পরিচিতি দেয়। যা পরে গান হয়ে বিভিন্ন ভাষায় দেশে-বিদেশে পরিচিতি পায়। বাংলার লোক সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করতেন। পাহাড়-জঙ্গল-আদিবাসী এলাকায় ঘুরতেন।
advertisement
সান্তাক্লজের মতো লাল পোশাক আর কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, মাথায় রঙিন রুমাল বাঁধা ছিল অরুণ চক্রবর্তীর ট্রেড মার্ক। ঝোলায় থাকত চকোলেট। ছোটোদের দেখলেই চকোলেট দিতেন। সবাইকে ‘বুড়ো’ বলে ডাকতেন। তাঁর প্রয়ানে জেলার কবি সাহিত্যিক মহলে শোক।
কবির মরদেহ বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনের মুক্ত মঞ্চে শায়িত থাকবে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর গুণগ্রাহীরা। পরে শ্যাম বাবুর ঘাটে হবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সোমনাথ ঘোষ