সর্বশেষ তথ্য বলছে, এই প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৮৮ জন উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৮৫ জন অর্থাৎ ৭৩.৫ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। যদিও আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি পেতে গেলে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক তা আগেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল জেলাগুলিকে। তারপরেও কেন এত গড়িমসি তা নিয়েই জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন।
advertisement
আরও পড়ুন- বুধের মকরে গোচর নিয়ে আসছে শুভাশুভ ফল! কাদের ভাগ্য উজ্জ্বল হবে দেখে নিন এখনই
তবে শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, যে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই এখন উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার সংযোগ স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এখন থেকে সরাসরি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। এর জন্য ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে সামনে আনা হয়েছে। তাদের কাছে উপভোক্তাদের প্রত্যকের আধার কার্ড নথিভুক্ত থাকবে। তারাই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে। এর দুটি সুবিধা। এক, উপভোক্তার আধার কার্ড স্ক্যান করলেই জানা যাবে সে কোন কোন প্রকল্পের টাকা পেয়েছে। দুই, এক জনের নাম করে অন্য জন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা তুলতে পারবে না। কিন্তু আর্থিক অনিয়মের মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ উপভোক্তাদের আধার সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে কয়েছে। তবে শুধু আবাস যোজনাই নয়, দেখা গিয়েছে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দ্বী ভাতার প্রাপকদের সবার আধার কার্ড সরকারের কাছে নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৪ লক্ষ ৪১ লক্ষ ৪৬০ জন মানুষ এই তিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু মাত্র ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ জনের প্রকল্পের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করা হয়েছে।
সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এরপরই রয়েছে, কোচবিহার, নদিয়া, ঝাড়গ্রামের নাম।আনন্দধারা প্রকল্পেও ৮০.৮ শতাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপভোক্তাদের আধার সংযোগ স্তাপন করা হয়েছে। যেখানে মহারাষ্ট্র ৯৫.৪ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশ ৯০.৯ শতাংশ করে ফেলেছে। আর এবার তা নিয়ে জেলাগুলিকে দ্রুত আধার কার্ড সংযোগ স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হলো নবান্নের তরফে বলেই সূত্রের খবর। অন্যদিকে গ্রামীণ আবাস যোজনার অর্থ বরাদ্দের জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।