নির্দেশে বলা হয়েছে, এই সমীক্ষা করার সময় সমীক্ষক দলের সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দিতে হবে। এই সমীক্ষার উদ্দেশ্যই হবে গোটা বিষয়টি ভাল করে পরীক্ষা করে দেখা ৷ যাতে কোনওভাবেই অযোগ্য উপভোক্তার নাম তালিকায় ঠাঁই না পায়। এ ছাড়াও পুলিশকে স্বাধীনভাবে র্যানডাম ভিত্তিক সমীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। সমীক্ষার কাজে উপযুক্ত ডকুমেন্টেশনের ওপরেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে জেলা প্রশাসন গুলিকে।
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, এর জন্য বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষার ওপর ভিডিওগ্রাফি, ছবি-সহ রিপোর্ট দিতে হবে। এই সমীক্ষা করার সময় যারা বাধা দেবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গোটা কাজটাই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। যোগ্য উপভোক্তা নামের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানো বাধ্যতামূলক। কারণ বাড়ি নির্মাণের খরচ আধার পেমেন্ট বেস সিস্টেমকে ব্যবহার করে কেন্দ্র টাকা পাঠিয়ে দেবে উপভোক্তাদের। আর এই ব্যবস্থাকেই ব্যবহার করতে চায় রাজ্য। তার জন্য বিভিন্ন জেলাকে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন- ৭ সেকেন্ডের বেশি সময় দেওয়া যাবে না, পারবেন বাথরুমে থাকা মোরগটাকে খুঁজে বের করতে?
প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে আবাস যোজনা সমীক্ষা করতে গিয়ে একাধিক জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছে প্রথম দফায় আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেক্ষেত্রে অনেকের নামই এখনও বাতিল না পড়ার সম্ভাবনা থেকে যেতেই পারে। তার জন্যই পুনরায় এই যাচাই সমীক্ষা করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাগুলিকে এর জন্য পৃথক পৃথকভাবে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আবাস যোজনায় যোগ্য প্রার্থী হয়েও উপভোক্তা তালিকায় নাম না থাকার জন্য অভিযোগ জমা পড়ার নিরিখে রাজ্যের ৫ জেলা শীর্ষে রয়েছে।
আরও পড়ুন- আবাস যোজনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য নবান্নে, তালিকার অভিযোগের নিষ্পত্তি নিয়ে ঝামেলা
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান। এই পাঁচ জেলাতে অভিযোগ জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ পেয়েও নিষ্পত্তি না হওয়ার প্রবণতাও বেশি। তার জন্য এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। মূলত জেলাগুলিতে অভিযোগ জানানোর জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করতে নবান্ন নির্দেশ দিয়েছিল তাও যথাযথ কার্যকর হয়নি। আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রের পরিদর্শনকারী দল বিভিন্ন অভিযোগের নিরিখে পরিদর্শন করে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু এবার আবাস যোজনা নিয়ে কার্যত কড়া মনোভাবই নিতে চাইছে নবান্ন। যাতে এই আবাস যোজনা নিয়ে কোন অভিযোগ না ওঠে। মঙ্গলবাড়ী মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তারা যাতে কোনওভাবেই উপভোক্তাদের তালিকায় না রাখা হয়। পাশাপাশি সমীক্ষার সময় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে মঙ্গলবার এর বৈঠকে।