রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘‘ওই চিঠির প্রেক্ষিতে যা বলার আমরা যথা সময়ে বিধানসভায় বলব। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকী এফআইআর করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল যখন কোনও দুর্নীতির হদিশই পেল না, তাহলে কি ধরে নেব মিথ্যে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র? ’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাজ্যে শিল্প নিয়ে বামেদের পাশাপাশি মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের এই রিপোর্ট দেখার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র চিঠি পাঠায় মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে । তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, আবাস যোজনায় ছোটখাটো বেনিয়ম ছাড়া কোনও দুর্নীতি হয়নি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় দল ৭ টি জেলা পরিদর্শন করেছে। আবাস যোজনায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কেউ ঘুষ বা কাটমানি নিয়েছে কি না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহু মানুষকে এই প্রশ্ন করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোথাও কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতির হদিশ পায়নি। পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহের কালিয়াচকে বেশ কয়েকটি বাড়ির অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
তদন্তকারীরা স্বীকার করে নিয়েছেন, কালিয়াচকের ১৩টি বাড়ির মধ্যে ১১টি রাজ্যই বাতিল করে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযোগ ওঠা বাড়িগুলির দেওয়ালে ঠিক জায়গাতেই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র স্টিকার লাগানো আছে। তবে বেশ কয়েকটি জেলায় স্টিকার লাগানো নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটি আছে। তা যথাসময়ে ঠিক করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হল না। আসল সত্যি বেরিয়ে এসেছে।’’