রাজ্যপালের চিঠিকে পাল্টা কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৷ তিনি রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, ‘উনি যে চিঠি দিচ্ছেন, উনি জানেন কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ আছে আর কটি করে গাছ আছে?’
চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, " রাজ্য বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তারপরে আমফানের জেরে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সর্বতোভাবে চেষ্টা করতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে যতটা সম্ভব গাছ লাগানো যায়। প্রচেষ্টা নিতে হবে যে গাছগুলো পড়ে গিয়েছে সেই গাছগুলোর মধ্যে যাতে কিছু গাছ লাগানোর চেষ্টা করা যায়। আমার আত্মবিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই প্রচেষ্টা নেবে এবং আমফানের এর ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে।"
advertisement
গত বুধবার বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানে শহর কলকাতায় একের পর এক গাছ পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। কলকাতা, যাদবপুর, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রভারতীর মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কয়েকশো গাছ উপড়ে গিয়েছে। এমনকি শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এই দু'শোর বেশি গাছ গত বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই গাছগুলিকে কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় বা নতুন গাছ কিভাবে বসানো যায় তার জন্য উপাচার্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছেন। তবে শুধু যাদবপুর নয় কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে কিভাবে গাছ লাগানো যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব পরিকল্পনার পাশাপাশি রাজ্য স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দফতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। একটি গাছের বদলে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর কথা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান " আমরা ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্কুলগুলিকে গাছ লাগানোর কথা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী ও বারবার গাছ লাগানোর কথা বলে এসেছেন। উনি বলতেই পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ঠিক করবেন তারা কিভাবে এই পদ্ধতি কার্যকর করবেন।" যদিও রাজভবনের তরফে এদিনই চিঠি পাঠানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকায় অনেক উপাচার্য এই চিঠি পাইনি বলেই জানা গিয়েছে।
Somraj Bandopadhyay