কেউ এসেছেন মধ্যপ্রদেশ, কেউ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে। একে একে সাধুসন্তদের ভিড় জমছে বাবুঘাটে। তাঁদের থাকার জন্য নির্ধারিত প্যান্ডেলগুলোতে ভক্তদেরও ভিড় বাড়ছে ধীরে ধীরে।রীতিমতো উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়ে গেছে বাবুঘাটের ওই জায়গাটিতে। সঙ্গে পুলিশি টহলদারি থেকে আরম্ভ করে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার আগাম পরিদর্শনে গিয়েছেন।
advertisement
তিনি হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টার চড়ার আগে জানিয়ে যান ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা গঙ্গাসাগর মেলায় গিয়ে কোনও কারণে প্রাণ হারাবেন, তাঁরা পুণ্যার্থী হোন বা অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হোন, পাবেন ৫ লক্ষ টাকার জীবনবিমা।
আরও পড়ুন : 'গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করা উচিত', পুণ্যার্থীদের সুবিধায় বিরাট ভাবনা মমতার
প্রতিবারের মত এ বারও বাবুঘাটে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ডাক্তার রয়েছেন। করোনা পরীক্ষার বন্দোবস্তও রয়েছে। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যান,তাঁকে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ বার গঙ্গাসাগর মেলার সময় ঠান্ডার প্রভাব পুণ্যার্থীদের সমস্যায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেলা নিয়ে যে উদ্যোগ এবং সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা, তার প্রশংসা করছেন অন্য রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা।
আরও পড়ুন : বাড়িতে কষ্ট করে তৈরি করতে হবে না! দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নলেন গুড়ের পিঠে
তবে এই সময় মেলা প্রাঙ্গণে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে।সেই অভিযোগ ইতিমধ্যে ওঠা শুরু হয়েছে। সেদিকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।তবে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে।