যদিও মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ''প্রতিবছর এভাবে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয় পুজো অনুদান। পরে তাঁর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর যদি বিজ্ঞপ্তি হয়, তাহলে সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।''
এরপরই রাজ্যের হলফনামা চাওয়ার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন জানায়, পূর্ববর্তী বছরে পুজো অনুদান বা চলতি বছরের পুজো অনুদান সংক্রান্ত তথ্য জানাবে রাজ্য। ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অনুব্রতর কথা মতো তোলা তুলতে না পারায় জেল খেটেছি', বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন তৃণমূল নেতার
প্রসঙ্গত, গত বছর অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার। তারপর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে এরই মধ্যে অনুদানের বিরোধিতা করে আইনজীবীদের সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
আরও পড়ুন: ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজনৈতিক মহলের নজর সেদিকেই
তারপরেই গত বুধবার দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। একই ইস্যুতে ফের আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, মামলা করেছেন সুবীর কুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাগুলিরই একসঙ্গে শুনানি শুরু হল হাই কোর্টে।