গোটা রাজ্যে বিপুল জয় পেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন নন্দীগ্রামে। তবে, তিনি মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতেই হবে। সেই ৬ মাস শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর। তাই সেই সময়ের আগেই ভোট চেয়ে বারবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি নেতারা বারবারই বলেছেন, এখন ভোট চান না তাঁরা। সেই মতো রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। ফলে উপনির্বাচন নিয়ে জোর সংঘাতে এখন তৃণমূল-বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: কু-তে এবার তৃণমূল, সোশ্যাল দুনিয়ায় পদ্মের সঙ্গে জোর টক্করে জোড়াফুল!
যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ধীরেধীরে হলেও উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবারই উপনির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। বুধবার পাঁচ রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে করোনা পরিস্থিতির রিপোর্ট নেন তিনি। এর আগে, অগস্টের শুরুতেই সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে উপনির্বাচন নিয়ে মতামত জানাতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। ৩০ অগস্টের সেই মতামত জানায় দলগুলি। এরপরই উপনির্বাচন নিয়ে মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
বাংলায় বাকি থাকা উপনির্বাচনগুলির মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্রটি হল ভবানীপুর। ওই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। উত্তরবঙ্গের দিনহাটা ও শান্তিপুরেও হবে উপনির্বাচন। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জয়ন্ত নস্করও। ওই আসনগুলিতেও উপনির্বাচন হবে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও ভোট হবে। সবমিলিয়ে সাতটি আসনে একসঙ্গে নির্বাচন হবে। কিন্তু সময় ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে, তাই এবার আর কমিশন নয়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েই উপনির্বাচন চাইলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর।