গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পরীক্ষা ৷ প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষাতে ফাঁস হয়ে যায় প্রশ্ন পত্র ৷ এরপর দ্বিতীয় দিন ইংরেজি পরীক্ষার দিনও ফাঁস হয় প্রশ্ন ৷ তবে, প্রথম দিন থেকেই পরীক্ষা শুরুর পরই হোয়াটসঅ্যাপে পাচার হয় প্রশ্নপত্র ৷
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বত্ত্বেও কীভাবে ফাঁস হচ্ছে প্রশ্ন ? সেই নিয়ে গতকাল অর্থাৎ সোমবার ডিএম-এসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক হয় স্কুলশিক্ষা দফতরের ৷
advertisement
পরপর প্রশ্ন পাচারের ঘটনায় সোমবার পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও। এছাড়া, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক পড়ুয়াকেও আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, পরীক্ষা হলে প্রশ্নপত্র পেয়ে মোবাইলে ছবি তুলে পাঠাত পরীক্ষার্থীরা। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রশ্ন পেয়ে উত্তর ছবি তুলে পাঠিয়ে দিত উত্তরদাতারা। বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় প্রশাসন। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপরই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডিকে। টাকার বিনিময়েই কি এই কাজ চলত নাকি ভিন্ন কোনও স্বার্থ রয়েছে ? সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷