কাঁকুড়গাছি মেইন রোড় এলাকার গীতা স্টোর্স নামে একটি দোকানের সামনে শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। প্রতিবেশীদের কাছে একটু অবাক বিষয় হলেও কান দেননি কেউ। হঠাৎ করে স্ত্রীয়ের চিৎকারে তাল কাটে কাঁকুড়গাছি মেইন রোড়ের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বেবি বাঁকুলি।
advertisement
তার ডান দিকে ঘাড়ের কাছে রক্ত বেরচ্ছ গলগল করে। উত্তম বাঁকুলি বেবির স্বামীর হাতে একটি ধারালো ছুরি। এই ঘটনা দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।
এই কাণ্ডের কথা ফোন করে ফুলবাগান থানায় জানায় বেবির ছেলে অভিষেক বাঁকুলি। তার মধ্যেই বেবি বাঁকুলিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এইদিক বেরিব স্বামী উত্তর বাঁকুলি থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে জানান সে তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। খুনের পর আত্মসমর্পণের কথা বলার সময় ধারানো ছুড়িও পুলিশের হাতে তুলে দেয় অভিযুক্ত স্বামী উত্তম। এদিকে এই ঘটনার সমস্ত তথ্য পুলিশ আধিকারিকের কাছে জানাতে গিয়ে উত্তম বলেন, খুনের পর সে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন নিজেই তাই কীটনাশক খেয়েছেন তিনি।
তৎক্ষণাৎ পুলিশ কর্মী বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ উত্তমকে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর এখন উত্তম বাঁকুলির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। স্থানীয় সূত্রে খবর বেবি সামান্য কাজ করলেও উত্তম কোন কাজই করতেন না। অশান্তি ছিল তাদের নিত্যদিনের। ফুলবাগান থানা অফিসার উত্তমের জবানবন্দী নেবার পাশাপাশি জানতে চায় নিছকই দাম্পত্য কলহ না অন্য কোন কারন এর এই খুনের নেপথ্যে।
Input- Susovan Bhattacharjee, Arpitt Hazra