দীর্ঘ লকডাউনের পরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই শহরে যানজটে নাজেহাল হতে হয়েছিল নিত্য যাত্রীদের। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল সময়ের সঙ্গে। কিন্তু একাধিক বাস মালিক সংগঠন শহরের রাস্তায় বাস না নামানোর ফলে পুনরায় ফিরে আসে সেই দুর্ভোগ। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছিল যাত্রী হয়রানির সেই একই চিত্র।
advertisement
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছবিটা একটু অন্যরকম। রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাবের জন্য অনেক বাস মালিক আজ তাঁদের বাস রাস্তায় নামিয়ে ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তার সুফল দেখা গেল। উত্তরে ডানলপ মোড়ে গত কয়েক দিন যাত্রী হয়রানির চরম অবস্থা দেখে গিয়েছিল। যাত্রীদের দীর্ঘ সময় রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাস ধরার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এদিন সেখানকার চিত্রটা অনেকটাই ভালো। সরকারি বাসের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় এদিন লাইনে অনেক কম সময় দাঁড়াতে হচ্ছিল।
একই সঙ্গে বেসরকারি বাস সংখ্যায় অনেক বেশি থাকার ফলে এদিন সরকারি বাসের জন্য লাইনও কিছুটা কম ছিল। নিয়মিত ডানলপ থেকে S9A রুটের বাস ধরে ধর্মতলায় অফিসে যান প্রবীর কুন্ডু। তিনি বলেন, 'আজ অবস্থা অনেক ভালো। অন্যান্য দিন ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বাস পাওয়া যাচ্ছিল। আজ মনে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বাস পেয়ে যাব।
একই চিত্র শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়েও। সেখানেও গত কয়েক দিন যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল। কিন্তু আজ সেই অভিজ্ঞতাটা অনেকটাই বদলে গেছে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী শুভ্র দাশগুপ্তের। তিনি বলেন, 'গত কয়েক দিন সময়ে বাস না পেয়ে ট্যাক্সি করে অফিস গেছি। আজ সময় মত বাস পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি।'
তবে সংখ্যায় বেসরকারি বাস বাড়লেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে সামাজিক দূরত্বের বিধি কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়ে। এদিন প্রায় সর্বত্রই দেখা গেল বেসরকারি বাস গুলোতে যাত্রীরা কোনও বিধির তোয়াক্কা না করে বাসে যাতায়াত করছেন। ফলে যাত্রী হয়রানি কমলেও করোনা নিয়ে ভয় থেকেই যাচ্ছে৷
SOUJAN MONDAL