যদিও বুধবার কয়েকটি রুটে বেসরকারি বাস পরিষেবা চলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু যাত্রী দুর্ভোগ কার্যত সেই এক জায়গাতেই রয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই উল্টোডাঙা মোড়ে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ বাস আগে থেকেই বাদুড়ঝোলা অবস্থায় আসাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য উল্টোডাঙা থেকে।
যে কয়েকটি বেসরকারি বাস বা অধিকাংশ সরকারি বাসেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি বাসে যত সংখ্যক আসন কত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে নিয়ম থাকলেও কার্যত সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই সরকারি বাসের ভিড়ে ঠাসা ঠাসি করেই যাত্রীরা যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যস্থলে। আর এই ছবি শহরে করোনা সংক্রমনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা।
advertisement
আনলক ওয়ানের প্রথমদিকেই শহরে বেসরকারি বাস চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য আনলক ওয়ানের শেষ দিক থেকেই বাস ভাড়ার দাবি জানাতে থাকে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি।
রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি পেশ করে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। ভাড়া না বাড়াতে চাইলেও রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫ হাজার টাকা করে বেসরকারি বাস মালিকদের দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্যের সেই দাবি মানতে চায়নি বেসরকারি মালিক সংগঠনের বেশিরভাগরাই। রাস্তায় বেসরকারি বাস না নামানোর জেরে সোমবার থেকেই যাত্রী ভোগান্তি শুরু হয়েছে শহরজুড়ে।
মঙ্গলবার বেশিরভাগ সরকারি বাসের যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি ছবি উঠে এসেছিল। বুধবারও অবশ্য সেই ছবির বদল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে কয়েকটি রুটে বেসরকারি বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে। অন্তত উল্টোডাঙা মোড় থেকে এদিন দেখা গেল বারাসাত-বারুইপুর, বারাসাত- সাঁতরাগাছি, বসিরহাট-ধর্মতলা, ২০১,৩০c/১, ২১৫ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বাসের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম৷
বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন সরকারি অফিস ছুটি থাকবে। কিন্তু বেসরকারি অফিসগুলি খোলা থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ কার্যত বহাল থাকল বুধবারেও। বেশিরভাগ বেসরকারি বাস ও সরকারি বাসের ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে যাত্রীদের যেতে দেখা গেল এ দিন।
প্রত্যেকদিনই এরাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যত সংখ্যক আসন তত সংখ্যক যাত্রী সরকারের তরফে জারি করা এই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই যেভাবে সরকারি বাসে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে অফিস যাত্রীরা যাচ্ছেন তাকে রীতিমত চিন্তিত চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীরা।
SOMRAJ BANDOPADHYAY