ঘড়ির কাঁটা নটা ছুঁই ছুঁই। যাত্রীদের লাইনের তখনও বেশ কিছুটা পিছনে ওই যাত্রী। বললেন, 'কখন যে অফিস গিয়ে পৌঁছাব জানিনা'। গতকালের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে অপর এক যাত্রী কিংশুক রায় বলেন,' তিন ঘন্টা দাড়িয়ে বাসে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলাম। সরকারি বাসে করে বাড়ি ফিরতে কালঘাম ছুটে গেছিল'। টবিন রোডে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী মধুমিতা সেন বলেন, 'বাস ছাড়ার সময় ডিপো থেকেই সরকারি বাসে নির্ধারিত কুড়ি জন যাত্রীর উঠে পড়ায় মাঝপথে কোনও বাসই আর দাঁড়াচ্ছে না। ফলে চরম হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীদের এই সমস্যার সুযোগ নিয়ে ট্যাক্সিও খেয়াল খুশি মতো ভাড়া দাবি করছে"।
advertisement
বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক নিত্যযাত্রীর কথায়, 'আমাদের কাজে যেতেই হবে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এমন অনেক আমাদের পরিচিত যাত্রী আছেন গতকাল সরকারি বাসে চেপে যাতায়াতের অভিজ্ঞতার পর আজ আর ঘর থেকে বের হননি'। অনেকেরই অভিযোগ, পর্যাপ্ত সরকারি বাস চলাচলের সরকারি আশ্বাসেও আজও বেহাল বাস পরিষেবা'। একে বেসরকারি বাস পথে অমিল তার ওপর পর্যাপ্ত সরকারি বাসেরও দেখা নেই। ফলে আজ, মঙ্গলবারও যাত্রী হয়রানির ছবিটা একই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের। যে বাসে এতদিন ঠাসাঠাসি করে যাত্রীরা সওয়ার হতেন সেই বাসে এদিন সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রতি বাসে কুড়ি জন করে যাত্রী। ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শেষ অংশের যাত্রীরা বাসে উঠতে উঠতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। স্বভাবতই নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না অনেক যাত্রীই। কতদিনে কমবে এই যাত্রী হয়রানি ? প্রশ্ন আছে। তবে উত্তর অজানা ভুক্তভোগী যাত্রীদের।