সোমবার দুপুরে বছর ৬৫ বছরের সোনালী বিশ্বাসের কাছ থেকে চলে যায় ৯৩ হাজার টাকা। পেশায় প্রাক্তন ব্যাঙ্ক অফিসার দীর্ঘদিন ধরেই মোবাইলে ম্যাসেজ পাচ্ছিলেন। তার পেটিএমের কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও পরে মনে করেন অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারের জন্য দরকার হয় পেটিএম। তাই গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু ম্যাসেজ পড়ার পড়ে আপডেট করার কাজ শুরু করেন। এক অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে কুইক সাপোর্ট অ্যাপ নিজের মোবাইলে ব্যবহারের পরে শুরু করেন আপডেটের কাজ। শুরু কিছু সময় পরেই দেখেন বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ হাজার টাকা উধাও। ভয়ে অ্যাপ বন্ধ করে দিলেও সেই অচেনা ব্যক্তি ফোন করে এক টাকা জমা দিতে বলেন। জানান, এক টাকা দিলে উধাও টাকা ফেরৎ পাবেন। তখন সব অ্যাপ বন্ধ করে দিলেও আরও টাকা চলে যায় কয়েক মিনিটের মধ্যে। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে জানানোর পরেই গিরিশ পার্ক থানায় জানান সোনালী বিশ্বাস। ঠিক একই রকমভাবে প্রতারিত হয়েছেন ছেচল্লিশ বছর বয়সী নরেন্দ্র কুমার দাস। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৬৫ হাজার টাকা। এই ঘটনার পরে দুটি অভিযোগ দায়ের হয় সাইবার থানায়। লালবাজারের তদন্তকারী অফিসার এই অভিযোগগুলি হাতে পেতেই গ্রেফতার অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্য লোক ফের ছোট গ্যাং তৈরী করে প্রতারণার ছক করছেন। বলাই বাহুল্য, ফের পেটিএম প্রতারণায় চিন্তায় লালবাজার।
advertisement
SUSOBHAN BHATTACHARYA