#কলকাতা: সোমিয়া মজুমদার ,বয়স ৩৮ বছর। বর্ধমানের রানিগঞ্জের বাসিন্দা।ইউটেরাসে টিউমার ধরা পরার পর তার আত্মীয় পরিজন আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতার৷
ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২৩শে ডিসেম্বর, সোমবার ভর্তি হওয়ার পর ২৪ শে ডিসেম্বর,মঙ্গলবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ ,অস্ত্রোপচারের পর থেকে গত ৬ দিন ধরে সামিয়ার কোন জ্ঞান ফেরেনি, কোমায় চলে গেছে সে ।সেই থেকে ভেন্টিলেশনে রয়েছে সোমিয়া।
advertisement
রোগীর পরিবারের অভিযোগ,ভুল আনেস্থেশিয়া করার জন্যই সোমিয়ার এই পরিস্থিতি। এমনকী, অস্ত্রোপচারের পর যখন তাকে বেডে দেওয়ার কথা বলে, সেই সময় নার্সদের ডিউটি পরিবর্তন হচ্ছিল। ফলে কেউই এই রোগীকে ভালো করে নজর করেনি। সোনিয়ার পরিবারের অভিযোগ, প্রাইভেট হাসপাতাল গুলি ব্যবসা বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের গাফিলতি করে ভেন্টিলেশনে ফেলে রাখার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করে। যে রোগী সজ্ঞানে ছিল, কিভাবে সামান্য ইউটেরাসে টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে তাকে ৬ দিন ধরে কোমায় থাকতে হয় ? সোমিয়ার পরিবারের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পাশাপাশি তারা নবগঠিত রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করবেন।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বক্তব্য, অস্ত্রোপচারের শেষের দিকে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়, সেখান থেকেই তাঁর মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়। ভেন্টিলেশনে রাখা না রেখে উপায় ছিল না।
তবে এই ঘটনার পর যে প্রশ্নটা উঠে আসছে যে, দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম গুলিতে যেভাবে চিকিৎসার গাফিলতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলার অভিযোগ উঠছে; তাতে অসংখ্য মুমূর্ষু রোগী কি আদৌ সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে?