পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রমা কেয়ার বিল্ডিং এর ছ'তলায় নিউরো মেডিসিন বিভাগ এর শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ভোর রাতে। মৃতের নাম, রামচন্দ্র মন্ডল। উত্তর চব্বিশ পরগনা গাইঘাটার বাসিন্দা।মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে ভর্তি ছিলেন তিনি আরজিকর হাসপাতালে। ব্রেন স্ট্রোকের রুগী ছিলেন। মাথায় যন্ত্রনা হচ্ছিল ভর্তির পর থেকেই, দাবী পরিবারের। সোমবার ভোরে বাথরুমে গিয়ে গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে অনুমান পুলিশের।
advertisement
আরও পড়ুন : নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই আবহাওয়ায় বড় বদল
পরিবারের অভিযোগ, এর আগে গত সোমবার রাতে স্ট্রোক হয় রামচন্দ্র মন্ডলের। প্রথমে বনগাঁ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁকে সেখানে থেকে রেফার করে ঠাকুরনগর হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সোমবার ছেড়ে দেয় আরজিকর হাসপাতালে থেকে। এরপর বাড়ি গিয়ে আরও যন্ত্রনা হয়। গত মঙ্গলবার আবার নিয়ে আসে ওই রোগীকে আরজিকর হাসপাতালে। তখন চিকিৎসক দেখে বলে কেন একে ছাড়া হয়েছে? এখুনি ভর্তি করতে হবে, পরিবার সূত্রে খবর।
মৃতের স্ত্রী জানান, "রবিবার তিনি দেখা করে গিয়েছিলেন বিকেল পাঁচটায়। দেখে বোঝা যায়নি। তবে মাথার যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। সোমবার ভোরে হাসপাতালের আয়া বাথরুমে নিয়ে যায় রামচন্দ্র মন্ডলকে। এরপর শৌচাগারে ঢুকে ভিতরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন রামচন্দ্র। বাইরে আয়া ছিলেন। কিন্তু দরজা না খোলায় সন্দেহ হওয়াতে হাসপাতালে ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।"
আরও পড়ুন : বিয়ের পিঁড়িতে সিপিআইএমের যুবনেতা শতরূপ! পাত্রী কে? রইল ছবি
মৃতের দেহ ময়না তদন্ত জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে জানা যাবে কেন মৃত্যু। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, "চিকিৎসা সঠিক ভাবে পায়নি। মাথায় যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। গত সোমবার রোগীকে আনার পর ছেড়ে দেওয়া হলো কেন? মঙ্গলবার আনতেই তখন ভর্তি নেওয়া হল। চিকিৎসা সঠিক মিলছিল না বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। সেই কারণে কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন? তার থেকেই কি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন? যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে রোগীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি ছড়ায় হাসপাতাল এলাকায়।