বহু গাড়ি এই রাস্তা ব্যবহার করেন টোল কেটে। যদিও সেই রাস্তার এমন বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ তারাও। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ওভারলোডিং আর নিকাশির অভাব, এই দুইয়ের জেরেই বারবার বেহাল হচ্ছে এই রাস্তা। গত দু'মাসের বেশি সময় ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে জাতীয় সড়ক বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। যত দিন গেছে, ততই বেড়েছে খানা খন্দ। বেড়েছে নিত্যদিন দূর্ঘটনা। যদিও হুঁশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। প্রায় এক মাস আগে রাস্তা সারানোর কথা জানায় সংস্থা। যদিও সেই কাজ শুরুই করা হয়নি বড় অংশে। এরই মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাস্তার হাল পুরোপুরি বেহাল হয়ে যায়। রাস্তায় জল জমে অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন ছোট ছোট জলাশয়। আর এতেই টু হুইলার না বুঝে চলা আসায় দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি লরি খারাপ হয়েছে। এই দুইয়ে মিলিয়ে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানাচ্ছেন, "কে কার কথা শুনবে সেটাই তো বুঝতে পারছিনা। একাধিকবার আবেদন করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। আবার শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে রাস্তার যা অবস্থা হয়েছে তাতে বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে।" এরই মধ্যে স্থানীয় দের অভিযোগ রাস্তা খারাপ থাকায় বড় গাড়ি ব্যবহার করছে সার্ভিস রোড। ফলে স্থানীয়দের আবাসনের যাতায়াত করার রাস্তাও ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে।
advertisement
বছরভর এভাবে রাস্তা খারাপ হওয়া নিয়ে কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তা ঘন ঘন খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হল ওভারলোডিং। একই সাথে তাদের বক্তব্য, রাস্তার জল জমে গেলে তা নিকাশির ব্যবস্থা থাকা দরকার। যদিও বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে কোথাও কোনও নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ফলে জল জমে রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়েছে।
এন এইচ এ আই'য়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপন কুমার মল্লিক জানিয়েছেন, "দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালার কাজ আটকে। অবশেষে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এবার আশা করা যায় কাজ শুরু করতে পারা যাবে।এর মধ্যে বৃষ্টি চলে আসায় আমাদের পক্ষে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করা যাবে না।" তবে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার এই অবস্থা নিয়ে ভীষণ অখুশি স্থানীয় বাসিন্দা ও রাস্তা ব্যবহারকারীরা।