সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই জালিয়াতি কাণ্ডে অভিযুক্ত গ্যাংটকের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌতমকুমার সাহাকে। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের একাধিক এজেন্টের নাম। এরই মধ্যে ছিল শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ির বরুণ সিং রাঠোরের নামও। গত শনিবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের টিম। চলে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ৷ পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও৷
advertisement
গোয়েন্দাদের এখন ভাবাচ্ছে অন্য একটা বিষয়৷ সূত্রের খবর, যে ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানানোর ‘ব্যবসা’ চলছিল, তাতে সেই পাসপোর্ট বা লেনদেনের টাকা কোনও ভাবে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা চক্রের হাতে চলে যায়নি তো? সেই দিকটা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। কারণ, দুবাই, কাতার সহ একাধিক জায়গার জাল পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, ৩৫টি ফোন যেগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেই ফোনের কল লিস্ট ও ফোনের একাধিক চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে বিপুল অর্থের লেনদেন। কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট মামলায় আরও গ্রেফতার। উত্তরবঙ্গতে সিকিম সহ নর্থ বেঙ্গলে তল্লাশি করে গ্রেফতার আরও ৪। গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই অভিযুক্তেরা। এর আগে গ্রেফতার হয়েছিল গৌতম কুমার ছেত্রী, দিপু ছেত্রী। জাল পাসপোর্ট তৈরিতে একাধিক এজেন্ট যোগও মিলেছে। এই এজেন্টদের ব্যবহার করে বিপুল টাকার কমিশন নিয়ে তৈরি করত এই পাসপোর্ট চক্র। তেমনটাই সূত্রের খবর৷
ধৃত গৌতম কুমার সাহা ও দিপু ছেত্রীর সম্পত্তি, গাড়ি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন নজর রাখছে সিবিআই। তাঁদের এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? উলুবেড়িয়ায়, নর্থ বেঙ্গল ও সিকিমে তল্লাশি করে জানা গিয়েছে, প্রচুর ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট বেআইনি ভাবে বিপুল টাকার বিনিময়ে করা হত। দুবাই-সহ বিদেশের প্রচুর জাল পাসপোর্ট বানানো হত বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। ৩৫টি প্রায় দামি ফোন উদ্ধার। বিভিন্ন জাল ডকুমেন্টস ও নথি দিয়ে বিপুল টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট বানানো হত। সে ক্ষেত্রে, এজেন্ট মারফত গোটা বিষয়টি অপারেট করা হত বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট অভিযানে সিবিআই তল্লাশি চলিয়েছে প্রায় ৫০ জায়গায়। সিকিম, নর্থ বেঙ্গল, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি করে তারা। উদ্ধার হয় ভুয়ো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও বিভিন্ন নথি।
ARPITA HAZRA