সম্প্রতি ইডি আদালতে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এই আবেদনের পর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর অভিযুক্তের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে পিটিশন দাখিল করে জানিয়েছে ইডি।
advertisement
তবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জামাই কল্যানময় রাজসাক্ষী হওয়ার বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই ইডির বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি রাজসাক্ষী হতে চান। নিজের ইচ্ছায় রাজসাক্ষী হতে চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসা দুর্নীতির অপরাধ মাফ করার আর্জি জানিয়েছিলেন কল্যাণময়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তে উঠে আসে পার্থের জামাই কল্যানময় ভট্টাচার্যের নাম। ইডি চার্জশিটে কল্যাণময়ের নাম অভিযুক্ত হিসেবে ছিল। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা কল্যাণময়ের কাছে গিয়েছিল অভিযোগ করেছে ইডি। নিউ ইয়র্কে থাকতেন কল্যাণময়। গত ডিসেম্বরেই তিনি কলকাতায় আসেন এবং বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন।
সেই সময় আদালত শর্ত দিয়েছিল, নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারত ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়। তদন্তে পিংলায় একটি স্কুলের খোঁজ পেয়েছিল ইডি, ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী’র নামে। পরে জানা যায়, ওই স্কুলের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এরপর তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। ২০২২ সালেও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।